সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার আসামি ফের উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি

Looks like you've blocked notifications!
জামালপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান লিপন। ছবি : এনটিভি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সহিদুর রহমান লিপনকে ফের বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের দলীয় প্যাডে আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুকু এবং সদস্য সচিব আরমান হোসেন সাগরের যৌথ স্বাক্ষরে তাঁকে তাঁতী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

আগামী তিন বছরের জন্য নাদিম হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি সহিদুর রহমান লিপনকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডে সহিদুর রহমান লিপনের সংশ্লিষ্টতা জোড়ালোভাবে প্রকাশিত হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে মামলার আগের দিন ১৭ জুন বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি পদ থেকে তাঁকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছিল জেলা তাঁতী লীগ।  

কমিটির বিষয়ে জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব আরমান হোসেন সাগরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুকু ভালো জানেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুকুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি।

সহিদুর রহমান লিপন এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে গত ২০ আগস্ট ছয় সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিনে রয়েছেন। অভিযুক্ত সহিদুর রহমান লিপনের বাড়ি উপজেলার মালিরচর তকিরপাড়া গ্রামে।

উল্লেখ্য, বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুত্বর আহত হন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। ১৫ জুন বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় ১৮ জুন তাঁর স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।