সিডনিতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনার

Looks like you've blocked notifications!
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে ‘তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত।  ছবি : এনটিভি

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে ‘তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানির প্রতিনিধিসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া এ সেমিনারে জুম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সেমিনারে হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তাছাড়া আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও উল্লেখযোগ্য। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানি তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং করতে পারবে।’

অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স (এবিবিসি), অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (এবিবিএফ) ও বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল সিডনি আয়োজিত এ সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেসিসের (বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ।

বেসিস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পঞ্চম বাণিজ্যিক অংশীদার। এক্ষেত্রে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানির পরিমাণ ৭ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।’

অস্ট্রেলিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, ইন্টারনেট অব থিংস, সাইবার সিকিউরিটি এবং ক্লাউড কমপিউটিংসহ পাঁচটি সম্ভাবনাময় রপ্তানির ক্ষেত্র উল্লেখ করেন রাসেল টি আহমেদ।

অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলসের স্টুয়ার্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মনোরঞ্জন পাল বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ১২তম বৃহত্তম মার্কেট। সাইবার সিকিউরিটি, কোয়ান্টাম টেকনোলজি ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে।’

তাছাড়া টেকনিক্যাল সাপোর্ট, সফটওয়্যার উন্নয়ন, অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও দেশটিতে বর্তমানে চাহিদা রয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক মনোরঞ্জন পাল।