রোড মার্চে বাধা এলে প্রতিহত করা হবে : হাবিব-উন-নবী খান সোহেল

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। ছবি : এনটিভি

বিএনপির আগামীকাল বৃহস্পতিবারের ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলের রোড মার্চ। এই কর্মসূচিতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেটি প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মসূচির সমন্বয়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, চলমান এই এক দফা আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়, দেশের মুক্তিকামী সব মানুষের। বিএনপি শুধু বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে। তাই সাংবাদিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা বিএনপির প্রত্যাশা।

সংবাদ সম্মেলনে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বিগত দিনের বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা আন্দোলন থেকে শুরু করে বর্তমান এক দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

সরকারের জুলুম-অত্যাচার, নির্যাতন এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণ নিদারুণ কষ্টে আছেন দাবি করে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ভোটাধিকার হরণ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কালো আইন প্রয়োগসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকার স্বৈরাচারি নীতি অবলম্বন করছে।’

কেন তারা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ফ্রি-ফেয়ার ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাচ্ছেন তারও ব্যাখ্যা দেন হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।

হাবিব-উন-নবী খান সোহেল উচ্চ আদালতের সমালোচনা করে বলেন, সরকারের একটি সাজানো মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিম্ন আদালতে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হলো। সুবিচারের প্রত্যাশায় উচ্চ আদালতে গেলে সেখানে সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর করা হলো। এ কেমন বিচার? জনগণ আর কোথায় যাবে?

খালেদা জিয়াকে অত্যন্ত অসুস্থ এবং একজন জ্যেষ্ঠ সম্মানিত নাগরিক দাবি করে করে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাঁকে আটকে রেখে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে দেওয়া হচ্ছে না।  অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

শহরের কমলপুরস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম।

শরীফুল আলম তাঁর বক্তব্যে আগামীকালকের কর্মসূচি বাস্তবায়ণে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থকসহ স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তা কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ভিপি মুজিবুর রহমানসহ বিএনপি এবং  অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।