নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

Looks like you've blocked notifications!
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট নগরীর সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে রোডমার্চ শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন। ছবি : বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষ ভোট দিতে পারে না, দিনের ভোট রাতে হয়ে যায়। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। তাই মানুষ শেখ হাসিনাকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই পরিষ্কার কথা, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট নগরীর সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে রোডমার্চ শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গয়েশ্বের।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। আমরা ক্ষমতায় আসার জন্য আন্দোলন করছি না। আমরা আন্দোলন করছি গণতন্ত্রের জন্য, ভোটাধিকারের জন্য। তাই পরিষ্কার কথা, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, দেশের মানুষ হতে দেবে না।’

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সূচিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আমীর খসরু বলেন, ‘এক দফা এক দাবিতে এই রোডমার্চ, তা হলো ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ। এই সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। এই দাবিতে মানুষ জীবন বাজি রেখে রাস্তায় নেমেছে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বিদায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, আরিফুল হক চৌধুরী ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল ও খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন ও এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সহসম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মিজানুর রহমান চৌধুরী ও হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী।