ভিসা নীতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না : সালমান রহমান
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নীতি আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, এই নীতির জেরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান এ কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের কোনো সম্পর্ক নেই। আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার। প্রতিযোগিতা করে সেই বাজার আমরা দখল করেছি। সাড়ে ১৫ পার্সেন্ট (শতাংশ) ডিউটি (শুল্ক) দিয়ে আমাদের পণ্য সেই মার্কেটে যায়। যে কেউ সাড়ে ১৫ পার্সেন্ট ডিউটি দিয়ে মার্কিন বাজারে ঢুকতে পারে। আমেরিকা তো আমার জন্য স্পেশাল কিছু করে দেয় নাই। এই নীতি আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে কোনো সমস্যা হবে না।’
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন। এদিনই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বাধা প্রদানকারী হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারি দল, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, আমলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিচারকসহ সাত শ্রেণির লোকের ওপর ভিসা নীতি কার্যকর করার ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি কার্যকরের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি দেশের বাইরে থেকে নির্বাচনে বাধা দেওয়া বা বানচাল করার চেষ্টা করে, তাহলে দেশের জনগণ তাদের স্যাংশন দেবে।’ এ বিষয়ে সালমান এফ রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নিরপেক্ষ-সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে। আমরাও তা চাই। আমরা তো বাধা দিতে চাই না। যারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা স্যাংশন হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, প্রধান বিরোধী দল বলছে, তারা নির্বাচন হতে দেবে না। তার মানে কীভাবে হতে দেবে না? একটাই পথ-ভায়োলেন্স (সহিংসতা)। ভিসা নীতি জারি হয়েছে যারা নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের জন্য। আমি মনে করি, যারা বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিবে। এটা খুবই ভালো। ডোনাল্ড লু যে ইন্টারভিউ (সাক্ষাৎকার) দিয়েছেন সেখানে বলেছেন, বিরোধী দল, ক্ষমতাসীন দল ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য— যারা বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবে।’