বোঝা নয়, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় অংশ হয়ে উঠছেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরাও
বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরা দেশ ও জাতির বোঝা নয়, সুযোগ করে দিলে তারাও হয়ে উঠতে পারেন দেশ গঠনে শক্তিশালী কারিগর। এমনটা প্রমাণ করে দিতে প্রস্তুত হয়ে উঠছেন তারা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় অংশ নিতে চান তারা। এরই মধ্যে ডিজিটাল প্লাটফর্মে নানা অ্যাপের ব্যবহার করছেন দৃষ্টহীনরাও। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ (এআই) বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে হয়ে উঠছেন দক্ষ। একইসঙ্গে দক্ষতা অর্জন করছেন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিরাও।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মেধা অন্বেষণে কাজ করছে ইনস্টিটিউট অব হযরত মুহাম্মাদ (সা.)। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সনদপত্র, সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এসময় প্রদান করা হয়।
এ সময় বিশেষ অতিথি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাইয়ের হাই কমিশনার হাজী হারিস বিন ওসমান ও ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কয়েকজন প্রতিযোগী হামদ-নাত পরিবেশন করেন এবং পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রচনা পাঠ করেন। এ ছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা প্রযুক্তির মাধ্যমে কীভাবে নিজেদের উন্নয়ন করছেন এবং বিভিন্ন কাজ করছেন, সেটি দেখান।
আলোচনা পর্বে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ তার আলোচনায় বলেন, ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলছেন। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ রাখছেন। এই প্রতিযোগিতাটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি ইতিবাচক ঘটনা। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এসব ব্যক্তিরা তাদের মেধা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং তাদের সমাজে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পথ সুগম করবে।’
আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ইনস্টিটিউটের প্রধান উপদেষ্টা শেখ আব্দুল লতিফ আল কারী আল মাদানী।
ইনস্টিটিউট অব হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ২০০৪ সাল থেকে যাকাত তহবিলের মাধ্যমে বিনামূল্যে শারিরিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ব্রেইল ও ইন্টারনেট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে এবং প্রতি বছর পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।
সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর লোকজনকে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে জীবনযাপনে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ইন্সটিটিউট এই প্রথম তাদেরকে প্রতিযোগিতায় যুক্ত করে।