তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনূসকে ডাকা হয়েছে : দুদক চেয়ারম্যান

Looks like you've blocked notifications!
দুদকের লোগো। ফাইল ছবি

অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। তদন্ত প্রয়োজনেই তদন্তকারী কর্মকর্তা ড. ইউনূসকে ডেকেছেন বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাই ডেকেছেন। ড. ইউনূস দুদকে আসবেন কি না, এটা তার ব্যাপার।’

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি কমিশনের কাজ নয়। মামলা হবে কি, হবে না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, এখন তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন কাকে ডাকবেন তিনি। যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকে ডাকবেন। তার নিজস্ব বিষয় এটা।’

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘তলবের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর জানতে পেরেছি আমি।’ ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘কেন হয়রানি করা হবে তাকে। শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্ত করেছে দুদক ও মামলা হয়েছে। আপনারা এটাকে কেন হয়রানি বলছেন?’

ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিতের অভিযোগ এনে গ্রামীণ টেলিকম ও এর প্রতিষ্ঠাতা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১০টি মামলা করেন তারই অধীনস্ত শ্রমিকরা। সম্প্রতি ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা ৪৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করে আবারও আলোচনায় আসেন ড. ইউনূস। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে করা হয় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন। 

গত ১৪ জুলাই ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতি অনুসন্ধানের আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। আবেদনে বলা হয়,  ২০১০ সাল থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে নিট মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টনে অনিয়ম হয়েছে। 

এতে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে, পুরো বিষয়টির বিস্তারিত অনুসন্ধান প্রয়োজন। কারণ শ্রমিকদের নির্দিষ্ট শেয়ার দেওয়ার কথা থাকলেও বঞ্চিত করেছেন ড. ইউনূস।  অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও দেয়নি। এখানেও দেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে। 

২০২২ সালের ১৭ জুলাই অভিযোগ গ্রহণ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এখন চলছে যাচাই-বাছাই। যদি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়, তবে এর প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করবে দুদক।