ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে টাকা দাবি, একজন গ্রেপ্তার
নীলফামারী জেলার সদর থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দিয়ে উৎকোচ বা টাকা দাবি করায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তার নাম বাবু মিয়া ওরফে মো. মনোয়ার হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) এটিইউর সহকারি পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ওয়াহিদা পারভীন জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে বাবু মিয়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনোয়ার হোসেন পরিচয়ে সাভার উপজেলায় কর্মরত সার্ভেয়ার মো. আব্দুল করিমকে কল করেন। ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে কমিটি গঠন করে ১০৫ জন সার্ভেয়ারের কার্যক্রমের ওপর তাকে নজরদারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। নজরদারির তালিকায় মো. আব্দুল করিমেও নাম আছে এবং তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে হলে টাকা দিতে হবে বলে ভয়ভীতি দেখা। ভুক্তভোগী সার্ভেয়ার সরল বিশ্বাসে ভুয়া অতিরিক্ত সচিব বাবু মিয়ার দেওয়া নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা পাঠান। পরে প্রতারক বাবু মিয়া সার্ভেয়ারের কাছে আরো ৭০ হাজার টাকা দাবী করলে তার সন্দেহ হয়।
ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তা এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পরে দেখা যায়, বাবু মিয়া একই মোবাইল নম্বর থেকে ঢাকায় কর্মরত একজন সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) একই দিন দুপুরে তার অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরে ফোন করে। পরে ওই সহকারী কমিশনারসহ ৩৫ জন সহকারী কমিশনারকে বদলি করা হয়েছে বলে জানায়। বদলি বাতিল করতে ওই সহকারী কমিশনারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ টাকা দাবি করেন।
এরপর বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব এন্টি টেররিজম ইউনিটকে দেওয়া হয়। অনুসন্ধানের এটিইউ দেখতে পায়, মো. মনোয়ার হোসেন নামে অতিরিক্ত সচিব পরিচয় প্রদান করা ব্যক্তি একজন প্রতারক। নিজেকে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা দাবি করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর নজরদারি এবং বদলির ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়াই তার পেশা। এরপর এটিইউ নীলফামারী জেলা পুলিশের সহায়তায় প্রতারক বাবু মিয়ার প্রকৃত পরিচয় ও অবস্থান শনাক্ত করে তাকে নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করে।
ওয়াহিদা পারভীন জানান, গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে চুরি ও প্রতারণার মামলার আরও দুইটি গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট মুলতবি আছে। গ্রেপ্তার বাবু মিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।