যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই : কৃষিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৃহত্তর ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় বক্তব্য দেন। ছবি : কৃষি মন্ত্রণালয়

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমেরিকা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল,  আমরা তখনও ভয় পাইনি।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ফরিদপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৃহত্তর ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দেওয়া খুবই কঠিন। সেজন্য আমরা কম সময়ে অধিক ফলন ও একই জমি থেকে বার বার ফসল ফলানোর উপর গুরুত্বারোপ করছি। আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বল্পজীবনকালীন উন্নত জাতের ধানের ও অন্যান্য অনেক ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে, যা চাষের মাধ্যমে বছরে একটি অতিরিক্ত ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে।  একইসঙ্গে,  ফলনও অনেক বেশি। এই জাতগুলোকে কৃষকের নিকট দ্রুত জনপ্রিয় করতে হবে।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে আমরা তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। পরিকল্পনার প্রথম বছরেই আমরা তিন হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত সরিষা উৎপাদন করতে পেরেছি। আশা করছি, পরিকল্পনা অনুযায়ী, ধানের উৎপাদন না কমিয়েই আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে তেল আমদানি অর্ধেকে কমিয়ে আনতে সক্ষম হব। এতে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।’

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য আমরা গত বছর পরীক্ষামূলক কিছু দেশিয় মডেল ঘর নির্মাণ করেছি, যেখানে চার-পাঁচ মাস ধরে পেঁয়াজ ভালো অবস্থায় আছে। এটি একটি কার্যকর সংরক্ষণ পদ্ধতি হবে। এ বছর সারা দেশে এই সংরক্ষণ মডেল ঘর নির্মাণ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে মাঠে পেঁয়াজের উচ্চফলনশীল জাত দেওয়া হয়েছে, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, আর মডেল ঘরে সংরক্ষণ করতে পারলে পেঁয়াজের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না, বরং আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।

কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ বক্তব্য দেন।