বরিশালে দুর্গাপূজায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩৬ পূজামণ্ডপ

Looks like you've blocked notifications!
বরিশাল পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মহানগর ও সদর উপজেলার পূজামণ্ডপ কমিটির নেতাদের নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সভা কক্ষে সভা হয়। ছবি : এনটিভি

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় এবার চারটি পূজামণ্ডপ বেড়ে ৮৭টি হয়েছে। তার মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পূজামণ্ডপ ৩৬টি ও ঝুঁকিপূর্ণ ৩৭টি।

মহানগর ও সদর উপজেলার পূজামণ্ডপ কমিটির নেতাদের নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সভা কক্ষে সভায় এই তথ্য জানানো হয়। পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় পূজা উদযাপন নিয়ে বিষদ আলোচনা হয়।

সভায় পুলিশ কমিশনার জানান, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় এবার চারটি পূজামণ্ডপ বেড়ে ৮৭টি হয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পূজামণ্ডপ ৩৬টি ও ঝুঁকিপূর্ণ ৩৭টি। চারটি পূজামণ্ডপে বিরোধ রয়েছে, যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বিসর্জন দিতে হবে, আতশবাজি নিষিদ্ধ, আনসার থাকবে মন্দির ভেদে ৪, ৬ ও ৮ জন, সিসি ক্যামেরা আছে ৪৯টি পূজামণ্ডপে এবং যে পূজামণ্ডপগুলোর সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সামর্থ্য নেই তাদের সহায়তা করবে পুলিশ।

বিএমপি কমিশনার আরও বলেন, এবারের পূজায় সর্বজনীন ৭৮ ও ব্যক্তিগত ৯টি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক থাকবে ৮৪১ জন। এছাড়া পূজামণ্ডপকেন্দ্রীক সম্প্রীতি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামনে নির্বাচন থাকায় সবাইকে সতর্ক হয়ে পূজা উদযাপনের জন্য বলা হয়েছে।

সভায় বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন বলেন, পূজাকে ঘিরে মাদক নিয়ন্ত্রণে শুধু পুলিশ নয় সকলকে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে। কারো ওপর দোষারোপ না করে সম্মিলিতভাবে মাদক প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।

বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বরিশালে সম্প্রীতি সব সময় ছিল। এই সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সম্প্রীতি কমিটি গঠনের মাধ্যমে পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

সভায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা, নজরুল ইসলাম, জাকির হোসেন মজুমদার, র‌্যাব-৮ এর উপ পরিচালক মেজর জাহাঙ্গীর আলম, বিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিম, মহিউদ্দিন মানিক বীরপ্রতীক, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক খান আলতাফ হোসেন ভুলু, সচেতন নাগরিক কমিটি বরিশালের সাবেক সভাপতি শাহ সাজেদা, বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল দুলাল, বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখার্জী কুডু, মহানগরের সাবেক সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র দে নারু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তমাল মালাকারসহ বরিশাল মহানগর ও সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।