গোপালগঞ্জে টর্নেডো, ৭২ বাড়িঘর বিধ্বস্ত

Looks like you've blocked notifications!
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে টর্নেডোতে বিধ্বস্ত হয় বাড়িঘর। ছবি : এনটিভি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে টর্নেডোতে ৭২টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম বাসুদেবপুর, মহাটালী, ডিগ্রিকান্দি ও টিকারডাঙ্গাতে এবং কাশালিয়া ইউনিয়নের শার্শাকান্দি গ্রামে টর্নোডোর এ ঘটনা ঘটেছে।

টর্নেডোতে বাড়িঘরের পাশাপাশি গাছপালা উপড়ে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। টর্নেডোতে ১৫ গ্রামবাসী আহত হন। তারা  স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে, এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।  

মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলু আজ শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় পরিবারের জন্য ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন। 

বাসুদেবপুর গ্রামের মনোজ বিশ্বাস জানান, বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করে ঝড় ওঠে। তার দাবি, এই ঝড় মাত্র ৫০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট স্থায়ী হয়। ঝড়ের তাণ্ডবে পাঁচটি গ্রামের ৭২টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অসহায় পরিবারগুলো বসতঘর হাড়িয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

মহাটালী  গ্রামের গৌতম চন্দ্র সরকার জানান, টর্নেডোতে শুধু বাড়িঘরই বিধ্বস্ত হয়নি, সেই সাথে আসবাবপত্র, থালাবাসন, গোলার  ধান-চাল উড়ে গেছে।

এদিকে কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া ও বরাশুর গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে টর্নেডোর আঘাতে ও বৃষ্টিতে ভাটিয়াপাড়া বাজারের অধিকাংশ ঘরবাড়ি ও বরাশুর গ্রামের কয়েকটি ঘরবাড়ি ও গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি বিধ্বস্ত হয়। ফলে বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়ে ওই এলাকা।

উজানী ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বোস বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এক মিনিটের টর্নেডোতে পাঁচটি গ্রামের ৪০টি পরিবারের ৭২টি বাড়িঘরসহ উজানী দুর্গা মন্দির বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। টর্নেডোতে ১৫ জন আহত হয়। তারা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।’ এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি। 

মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ইমাম রাজী টুলু বলেন,  ‘টর্নেডোতে বাসুদেবপুরসহ পাঁচটি গ্রামের ৪০টি পরিবারের ৭২টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড়ে বাড়িঘরগুলো ভেঙে পড়ে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপনের কাজ শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।’