শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর
শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্মাইল (সাস্টেইনবল এন্ড মিনিংফুল ইন্টারভেনশন ফর লাইভলিহুড এনরিচমেন্ট) প্রকল্পের অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও ঢাকা-সহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে বলে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে।
স্মাইল প্রকল্পটি সক্রিয় অংশীদারিত্ব এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিক্ষা, সমাজ, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ, কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি, জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো মোকাবিলা করার জন্য নিখুঁতভাবে উদ্ভাবন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এরিক এম. ওয়াকার এবং তিনি তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন যেখানে তিনি পুনর্নিশ্চিত করেন যে শেভরন বাংলাদেশ শুধু ব্যবসা পরিচালনাই নয়, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টিতেও বদ্ধপরিকর। ওয়াকার বাংলাদেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ও দীর্ঘস্থায়ী ভবিষ্যত তৈরিতে সুইসকন্ট্যাক্ট এবং তাদের যৌথ মিশনের সাথে সহযোগিতা করার বিষয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
ওয়াকার বলেন, “আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে শেভরন বাংলাদেশ ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ সরকারের সাথে অংশীদারিত্বের সুযোগ পেয়েছে এবং জাতির ৫০ শতাংশেরও বেশি পরিচ্ছন্ন জ্বালানি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পেয়েছে। শেভরন বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন মানের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুইসকন্ট্যাক্টের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা শেভরন বাংলাদেশের জন্য একটি আনন্দদায়ক যাত্রা। কারণ আমরা বাংলাদেশের উজ্জ্বল ও দীর্ঘস্থায়ী ভবিষ্যত গড়ে তুলতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।”
সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান সবাইকে স্বাগত জানিয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যে তিনি বিশ্বের উন্নয়নের সমস্যাগুলো দীর্ঘস্থায়ী সমাধান করতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের তাৎপর্য তুলে ধরে হাসান বলেন, “১৯৫৯ সালে সুইসকন্ট্যাক্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেসরকারিখাতের সাথে অংশীদারিত্বে কাজ করা সুইসকন্ট্যাক্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি, বেসরকারি খাতের সহায়তা ও অংশগ্রহণ ছাড়া দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বের উন্নয়নের সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব নয়। আমরা আনন্দিত যে আমরা অতীতে শেভরন বাংলাদেশের সাথে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও স্থানীয় সম্প্রদায়কে স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যাগুলোর মোকাবিলায় সহায়তা করার আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।”
অনুষ্ঠানে স্মাইল প্রকল্পের টিম লিডার মকবুল হোসেন প্রকল্পটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন। শেভরন বাংলাদেশের কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্টর ব্যবস্থাপক খন্দকার তুষারুজ্জামান শেভরন বাংলাদেশের সামাজিক বিনিয়োগের অতীত অর্জন ও এর কৌশলগত অংশীদারিত্বের সামগ্রিক লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সম্ভাব্য প্রভাব উপস্থাপন করেন।