স্কুলছাত্রীকে অপহরণ : তিন যুবক আটক, মাইক্রোবাসে আগুন

Looks like you've blocked notifications!
ফরিদপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিতে আসা মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয় সহপাঠী ও স্থানীয়রা। ছবি : এনটিভি

ফরিদপুরে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার সময় তিন অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় অপহরকারীদের গাড়ি রোধ করে গণধোলাই দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে স্থানীয়রা অপহরণকারীদের আনা মাইক্রোবাসটি জ্বালিয়ে দেয়।

আটক যুবকরা হলেন সদর উপজেলার ইশানগোপালপুর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের মামুন (৪০) ও শহরের গোয়ালচামট এলাকার আলমগীর (৫২) ও মাইক্রোবাসের চালক সাদ্দাম। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমূল্য কুমার জানান, আজ সকালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি মাইক্রোবাসে করে আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সাহসিকতার সঙ্গে ওই ছাত্রীর সহপাঠী ও স্থানীয়রা স্কুল মাঠের সামনে গাড়িটির গতিরোধ করে ধরে ফেলে। দুজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।এ সময় বিধান নামে এক অপহরণকারী পালিয়ে যায়। পরে ক্ষুব্ধ সহপাঠী ও স্থানীয়রা মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

মিঠু নামে একজন জানান, আজ সকাল সাড়ে ৯টায় সাদা একটি মাইক্রোবাসে করে ওই স্কুলের সামনে থেকে চার অপহরণকারী স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। পথে এক মোটরসাইকেলচালক বিষয়টি টের পেয়ে মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে। মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার সময় ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অপহরণকারীরা পালানোর চেষ্টা করে। এদের মধ্যে তিনজনকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দেয়। উত্তেজিত স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ স্থানীয়রা মাইক্রোবাসটিজ্বালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসার পথে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

ওই ছাত্রীর বাবা জানান, ‘আমরা ঘটনা শুনে স্কুলে এসে আমার মেয়ের কাছে সব ঘটনা শুনি। পরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিয়াউর রহমান ও থানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা একটি মামলা করব। এটি প্রেমঘটিত কোনো বিষয় নয়।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ‘একটি মাইক্রোবাস নিয়ে কয়েকজন অপহরণকারী ওই স্কুলের এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করে। সহপাঠীদের বাধার মুখে তারা ব্যর্থ হয়। সেই সময় দুইজনকে আটক করে গণধোলাই দেয় শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি পুড়িয়েছে শিক্ষার্থীরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনা তদন্ত চলছে। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।