লালন স্মরণোৎসব শুরু, ভক্তদের ঢল
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়ীতে ১৩৩তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৯টায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এই উৎসব উদ্বোধন করেন।
বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহর ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ এই আধ্যাত্মিক বাণীকে স্লোগান করে এবারের লালন স্মরণোৎসব শুরু হয়।
লালন একাডেমির মূল মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব প্রমুখ।
প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমান।
আলোচনা শেষে মূল মঞ্চে একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি লালনের এই তিরোধান দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। প্রতিবারের মতো এবারও আধ্যাত্মিক গুরু ফকির লালন শাহকে স্মরণ ও তাঁর দর্শন পাওয়াসহ অচেনাকে চেনা, জ্ঞান সঞ্চয়, আত্মার শুদ্ধি ও মুক্তির লক্ষ্যে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার লালন অনুসারী, ভক্ত-অনুরাগী আর দর্শনার্থী আখড়াবাড়িতে এসে জড়ো হয়েছেন।
অন্যদিকে, আখড়াবাড়ি চত্বরে কালী নদীর তীরে মাঠে বসেছে বিশাল লালন মেলা। আর এই উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সিসি টিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ারসহ কয়েক স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্ত্বা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
ঐতিহাসিক এই লালন উৎসব শেষ হবে আগামী বৃস্পতিবার রাতে।
১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক আধ্যাতিক সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মৃত্যুর পর থেকে প্রতিবছর এ উৎসব চালিয়ে আসছেন তাঁর অনুসারীরা।