বিচার ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ নিরসনে নিরন্তর প্রচেষ্টা প্রয়োজন : প্রধান বিচারপতি

Looks like you've blocked notifications!
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স কক্ষে ‘দীর্ঘমেয়াদি বিচার বিভাগীয় পরিকল্পনা’ করতে সাবেক ও বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান সভাপতি-সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি : এনটিভি

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বিচার ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ নিরসনে নিরন্তর প্রচেষ্টা প্রয়োজন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স কক্ষে ‘দীর্ঘমেয়াদি বিচার বিভাগীয় পরিকল্পনা’ করতে সাবেক ও বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান সভাপতি-সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় এ কথা বলেন তিনি। 

সভায় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থা নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু, এসব অভিযোগ নিরসনের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা প্রয়োজন এবং এসব সমস্যা নিরসনের জন্য কার্যকর ম্যাকানিজম বা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। এই পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে আমরা সেগুলো চিহ্নিত করব।’

জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা সবাই আমাদেরকে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত ও প্রস্তাব দিয়ে সহযোগিতা করবেন। আপনাদের কাছ থেকে মতামত ও প্রস্তাবসমূহ দুভাবে আমাদের কাছে প্রেরণ করা যাবে। প্রথমত, এখানে উপস্থিত যারা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করছেন, তারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আপনাদের লিখিত প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, যারা এখানে ব্যক্তি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন তারা তাদের নিজেদের মতামত লিখিতভাবে আমাদের কাছে পাঠাবেন বলে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সকল অংশীজনের কাছ থেকে আমরা এক এক করে মতামত ও প্রস্তাব সংগ্রহ করব। পরবর্তীতে এসব মতামত ও প্রস্তাব কয়েকটি ধাপে আলোচনা, বিশ্লেষণ ও গবেষণা করে একটি চূড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

একটি সুন্দর, সক্ষম ও সচল বিচার বিভাগ সকলের চাওয়া উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের এই পরিকল্পনা নিখুঁত হবে না জানি, কিন্তু পথচলার জন্য পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক। ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য এই পরিকল্পনা আমরা একটি দিকনির্দেশনা হিসেবে রেখে যাব। এর অনেক কিছুই তাদের পথ চলতে সহায়ক হবে। আবার সময়, পরিস্থিতি প্রয়োজনের তাগিদে ভবিষ্যতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ এই পরিকল্পনার সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোজন-বিয়োজন করে পরিকল্পনাটিকে আরও সময়োপযোগী করতে সক্ষম হবেন। আমি মনে করি, এভাবে আমরা একটি গণমুখী ও জনবান্ধব বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো।’

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি  মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি  মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সভাপতি সিনিয়র এ্যাডভোকেট ড. কামাল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট এম. আমির—উল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট  মঈনুল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট  এ.এফ. হাসান আরিফ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম. কামাল, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজউদ্দিন ফকির, সিনিয়র অ্যাডভোকেট  এস.এম. মুনির, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোর্শেদ, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুন নূর।