ভৈরবে দুর্ঘটনা : ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক, ১৬ মরদেহ হস্তান্তর

Looks like you've blocked notifications!
ভৈরবে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনকে মঙ্গলবার ভোরে রেললাইন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। ছবি : এনটিভি

ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেলপথে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতে ঢাকা ও আখাউড়া থেকে দুটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সোমবার দিনগত রাত ৮টার দিকে প্রথমে দুর্ঘটনা কবলিত মালবাহী ট্রেনটি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে সেই লাইনটি মেরামত শেষে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে সিলেটগামী কালিনি এক্সপ্রেস ট্রেনটির মাধ্যমে সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। পরে দুর্ঘটনার কারণে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকা ঢাকা-নোয়াখালী, সিলেট-ঢাকা জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু হয়।’

স্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ মিয়া আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার ভোর রাতে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটির দুটি বগি রেললাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর রেলপথ মেরামতের কাজ শুরু করেন কর্মীরা। আজ সকাল ৭টা ১২ মিনিটে ঢাকা থেকে সিলেটগামী উপবন এবং ৭টা ১৯ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা মেইল ট্রেনটি চলাচল করে। ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক রয়েছে।’

গতকাল সোমবার দিনগত রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে এই ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে তাৎক্ষণিক জানা যায়। তবে, সোমবার দিনগত রাতে স্বজনদের কাছে ১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘১৬ জনের মরদেহ সোমবার দিনগত রাতেই তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আহতদের মাঝে ২০ জনকে ঢাকায়, ৪০ জনকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম ও কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ১২ জনকে অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর আমাদের এখানে এক শিশুসহ তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে ভৈরব বাজার রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী এগারসিন্দুর ট্রেনকে একটি মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের দুটি বগি উল্টে গেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ওই ট্রেনটির চালক, সহকারী চালক ও পরিচালককে (গার্ড) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।