ঘূর্ণিঝড় হামুন

ঝালকাঠিতে প্রস্তুত ৬১ সাইক্লোন শেল্টার, নৌযান চলাচল বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!
ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা। ছবি : এনটিভি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ঝালকাঠিতে সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। কখনো হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে সব নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলার ৬১টি সাইক্লোন শেল্টারসহ নদী তীরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। রাতের মধ্যে সবাইকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে জেলা তথ্য অফিস থেকে মাইকিং করে নদী তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদে থাকার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় শ্রমজীবী এবং নদী তীরের বাসিন্দারা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেতের খবর শুনে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নদীর পানিতে বসতঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা। অনেকে ঘরবাড়ি ও মালামাল ফেলে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না। শেষ মুহূর্তের অপেক্ষায় কেউ কেউ। ফসলের ক্ষেত ও মাছের ঘের রক্ষায় ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলার বাসিন্দারা।

এদিকে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। জেলার চার উপজেলায় রোপা আমন নতুন করে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে কৃষকরা।

আজ বিকেলে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্বি করেন জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম। সভায় জানানো হয়ে, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় সাতটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জিআর ৫০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। নগদ টাকা ২০ লাখ, শিশু খাদ্য ১০ লাখ টাকার এবং গো-খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

সুগন্ধা নদী তীরের পৌর খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে নদীর পাড়ে বাস করি। ঘূর্ণিঝড়ের সাত নম্বর সংকেত শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। স্ত্রী সন্তান নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। এখন মালামাল নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। পানি বাড়লেই ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়বে।’

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে তাৎক্ষণিকভাবে যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো যায়, সে ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নদী তীরের মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।