স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা হত্যার ৭ বছর পর রহস্য উদ্ঘাটন

Looks like you've blocked notifications!
মুন্সীগঞ্জ সদরে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা মিজানুর রহমান হত্যায় অভিযুক্ত খোকন। ছবি : মুন্সীগঞ্জ পিবিআই

মুন্সীগঞ্জ সদরে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা মিজানুর রহমান (৩৮) হত্যার সাত বছর পর রহস্য উদ্ঘটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবার) দুপুরের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক। এ ঘটনায় হত্যাকারী খোকন বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জানান, মোবাইল ও মানিব্যগ চুরিকে কেন্দ্র করেই খোকন নামের এক মাদকাসক্তের হাতে মিজানুর খুন হন। ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের পর ২০২২ সালে ঘটনাটির তদন্তভার পায় জেলা পিবিআই। এরপর নিহত মিজানুরের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অনুসন্ধান শুরু হয় । হত্যাকাণ্ডের পর নিহত মিজানুরের বাবার করা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে খোকন আগেই গ্রেপ্তার ছিল।  তবে এত দিন তিনি ঘটনায় তাঁর সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেনি। গত মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) আদালতের আদেশে তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে পিবিআই গভীরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে গতকাল বুধবার মিজানুরকে হত্যার কথা স্বীকার করে লোমহর্ষক বর্ণনা দেন খোকন।

ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার দিন নিহত মিজানুর তাঁর ভাড়া বাসায় খাটে মাথার পাশে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ রেখে শোয়া ছিলেন। বাড়ির দরজা খোলা পেয়ে মাদকসেবী খোকন ঘরে গিয়ে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ চুরি করার চেষ্টা করলে মিজানুর চোর বলে চিৎকার দেন। এ সময় খোকন তার হাতের সামনে থাকা তালা দিয়ে আঘাত করে তাঁকে গুরুতর আহত করেন। পরে আহত মিজানুরকে গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর সেই তালা দিয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যান। 

পুলিশ সুপার আরও জানান, খোকনকে পুনরায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরে মিরকাদিমের ভাড়া বাসা থেকে রামপাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক  মিজানুর রহমানের  মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁর বাবা মো. আ. সামাদ শেখ একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যাকারী খোকনের বাড়ি মিরকাদিমের নগর কসবা এলাকায়।