বিএনপির বিরুদ্ধে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ‘নালিশ’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

Looks like you've blocked notifications!
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজ সোমবার এক ব্রিফিংয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ছবি : এনটিভি

রাজধানীতে বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বিদেশিদের কাছে অভিযোগ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে অসাংবিধানিক শক্তির উত্থান ঘটাতে চায়।’

আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে পরিস্থিতি তথ্য তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, মিশন প্রধান, জাতিসংঘের সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও সরকারের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।

কূটনীতিকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালের দিকে বিএনপি-জামায়াত দেশে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় ব্যাপক সহিংসতা ও ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের মারাত্মক নির্যাতন এবং নারীদের গণধর্ষণ করে।’

এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘২০১৩ সালে সাধারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি ও তার সহযোগীরা কয়েক হাজার গাড়ি ভাংচুর করে। পেট্রল বোমা ব্যবহার করে অনেক গাড়িতে আগুন দেয়। ওই সময় তাদের পেট্রল বোমা ও হ্যান্ড গ্রেনেড হামলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ২০ সদস্যসহ ৪০০ এর বেশি লোক নিহত হয়।’

বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহসমাবেশ নিয়ে কূটনীতিকদের কাছে তিনি বলেন, ‘ওই দিন সন্ধ্যায় বিএনপি কর্মীরা ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছে। তারা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। একটি পাবলিক বাসে আগুন দিয়ে একজন শ্রমিকের জীবন কেড়ে নেয়। এবার তাদের টার্গেট পুলিশ ও বিচার বিভাগ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিদের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। ছয়টি পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তাদের হামলায় আহত ৬৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ হাসপাতালে এবং অপরজনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনকি তারা পুলিশ হাসপাতাল চত্বরে ও অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবা ব্যাহত করে।’