আধিপত্য বিস্তারের জেরে যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭

Looks like you've blocked notifications!
নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানা। ফাইল ছবি

নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বাঁধেরহাট কলেজ গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় গুলিবিদ্ধসহ সাতজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও যুবলীগনেতা আশরাফুল করিম বাবু (৩৮), গুলিবিদ্ধ মো. মাসুম (২৩) ও মো. রিপনকে (৩৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগনেতা আশরাফুল করিম বাবু ও মো. রিপনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে আজ বেলা ৩টার দিকে কলেজ গেইটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি হয়। গুলিবিদ্ধ মাসুমসহ সাত থেকে আটজন আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাসুম ও বাবুসহ তিন জনকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ দিকে বাবুর সমর্থকরা এ ঘটনার জন্য রিপনের লোকজনকে দায়ী করছে। 

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম বলেন, আহত ছয়জনকে হাসপাতালে আনা হয়। গুলিবিদ্ধ মাসুমসহ আহত চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। 

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, গত ইউপি নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। আমি গুলির বিষয়টি নিশ্চিত নই, তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে। আহত কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ওসি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।