থমথমে আশুলিয়া, বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ড্যাফোডিলের
শৃঙ্খলা ভঙ্গ, চাঁদাবাজি ও মাদক সেবনসহ নানান অভিযোগে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সাভারে একের পর এক তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন আহমেদ খান বহিষ্কৃত ১৩ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে, সাভারের চানগাঁও ও খাগান বাজার এলাকায় গ্রামবাসীর ওপর হামলা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আগুন, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেলেও তাণ্ডবের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত দুই শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার। তাণ্ডবে তাদের মধ্যে অনেকের নিঃস্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষার্থী হত্যার জেরে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় দুই শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, ভয়ভীতি পদর্শন, হুমকি প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও সুনাম বিনষ্টের অভিযোগও আনা হয়েছে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
পূর্ব বিরোধের জেরে সম্প্রতি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান অন্তরকে ক্যাম্পাস থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে আরেক শিক্ষার্থী রাহাত সরকার ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দিনগত রাতে সাভারের বিরুলিয়ার খাগান বাজার এলাকায় হামলা করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাহাত সরকারকে।