শিশু ফাতিমা হত্যা মামলার রায় ১৫ নভেম্বর

Looks like you've blocked notifications!
হাইকোর্টের ফাইল ছবি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের নয় বছরের শিশু ফাতিমা আক্তার ইতিকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায়ের জন্য আগামী ১৫ নভেম্বরের দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ রায়ের জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন।

এদিন আপিল বিভাগে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলান উদ্দিন মোল্লা ও আইনজীবী শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ঝাটিবুনিয়া গ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে ফাতিমা আক্তার ইতি পাশের বুখাইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামে নানাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। সে স্থানীয় হাতেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো। ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সকালে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বিদ্যালয়ের মাঠে যায় ইতি। পরদিন দুপুরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় নিহত শিশুটির বাবা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় পুলিশ মেহেদী ও সুমনকে আটক করে। পরে সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

২০১৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শিশু ইতিকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তার মামাতো ভাই মেহেদী হাসান ওরফে স্বপন ও একই গ্রামের সুমন জমাদ্দারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একইসঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, যা নিহত শিশুর বাবা-মাকে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আবেদন করে। আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৩০ জুন বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মুবিনের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন। সে রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।