স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতার বিরুদ্ধে হামলার মামলা, কারণ দর্শানোর নোটিশ
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ছাতিয়ানী এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক জাহিদ মালিথার বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আল আমিন মালিথার নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলা চালায় একদল যুবক।
এ সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বাড়িটিতে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর চালায় তারা। এ হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। পরে জাহিদ মালিথা বাদী হয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আল আমিন মালিথাসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয় থেকে সাতজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন।
এদিকে ওই হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আল আমিন মালিথাকে সংগঠন থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরিফ ডাবলু ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত নোটিশে সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কেন তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরিফ ডাবলু বলেন, ‘এটা দুঃখজনক ঘটনা। নিজ দলের লোকজনের মধ্যে বিরোধে জড়ানো তাঁর ঠিক হয়নি। ইতোমধ্যে আল আমিন মালিথাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী বলেন, ‘মামলার আগেই ঘটনাটি পুলিশের নজরে এসেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।’