মাগুরায় নাশকতার মামলায় আসামি পাঁচ সাংবাদিক

Looks like you've blocked notifications!
মাগুরার মহম্মদপুর থানার ফাইল ছবি

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় নাশকতার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আসামি করে একটি মামলা করেছে পুলিশ। সেই মামলায় আসামি করা হয়েছে স্থানীয় পাঁচ সাংবাদিককেও। এ ছাড়া সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ব্যাংকার ও বিদেশে অবস্থানরতরাও রয়েছেন আসামির তালিকায়। গত ২ নভেম্বর মহম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

তবে, মামলার এজাহারে উল্লেখিত ঘটনাস্থলের বর্ণনার সঙ্গে সাক্ষীদের বক্তব্যের মিল পাওয়া যায়নি। 

আসামির তালিকায় থাকা সাংবাদিকেরা হলেন– মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি দৈনিক ইত্তেফাকের মাগুরা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান পলাশ, প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক দৈনিক দর্পনের রাসেল মোল্ল্যা, খবরের আলোর আব্দুল ওহাব, দৈনিক জনতার তরিকুল ইসলাম তারা ও ডেইলি নিউ নেশন পত্রিকার রফিকুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার সময় মহম্মদপুর-মাগুরা সড়কের ধোয়াইল নুরানী মাদরাসার সামনে জমায়েত হয় বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মী। এ সময় সেখানে থাকা পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় তারা। গাড়িকে লক্ষ্য ককটেল বিস্ফোরণও ঘটায়। এ সময় আটক করা হয় সাতজনকে।

পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো হামলার ঘটনার পরদিন এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলায় করেন। সেই মামলায় পাঁচ সাংবাদিক, সরকারি আরএসকেএইচ স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ব্যাংকার এবং বিদেশে অবস্থানকারীসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৯৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ১০০ থেকে ২০০ জনকে। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষী করা হয়েছে হাবিল হোসেন, তার সহোদর কাবিল হোসেন ও প্রতিবেশী হাফিজুর রহমানকে।

সাক্ষীরা বলেন, গত ১ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে রাস্তায় বিকট শব্দের আওয়াজ পান তারা। আওয়াজেই তাদের ঘুম ভাঙে। এক কয়েক মিনিট বাদেই পুলিশ তাদেরকে ডেকে রাস্তায় নিয়ে যায়। এ সময় ককটেল উদ্ধার হয়েছে বলে কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। তবে, ওই সময় পুলিশ বাদে অন্য কাউকে ঘটনাস্থলে দেখতে পাননি তারা। এ ছাড়া তারা আর কিছু দেখেনি এবং জানেন না বলেও জানান।

পুলিশের করা মামলাটিকে সাজানো বলে দাবি করেছেন মহম্মদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বিপ্লব রেজা বিকো এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী ডাবলু। নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহানুল ইসলাম বলেন, ‘আটককৃতদের তথ্যমতে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্তে যারা নির্দোষ তাদেরকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।’