খাস জমি নিয়ে বিরোধে পূজামণ্ডপে হামলা, থানায় মামলা

Looks like you've blocked notifications!
নোয়াখালীর ম্যাপ

সরকারি খাস জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুরের একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপে গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন তিন নারী। হামলার পরে বিক্ষুব্ধ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন রাত ১১টার দিকে চৌমুহনী-ফেনী সড়ক অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে ঘণ্টাব্যাপী চলা অবরোধ তুলে নেয় তারা।  আহতরা হলেন, করিমপুরের আলো রানী, লক্ষ্মী রানী দাস ও লক্ষ্মী রানী।

এ ঘটনায় করিমপুরের বাসিন্দা শেখ সেলিমকে (৫০) প্রধান আসামি এবং আরও দুজনের নাম উল্লেখ করে পূজামণ্ডপের সেবক আলো রবি দাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০ জনকে।  

করিমপুর কালী মন্দিরের সভাপতি গণেশ রবি দাস জানান, প্রায় ২৬ বছর আগে করিমপুর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত জয় শিবা রবি দাস সংঘ কালী মন্দির। এ মন্দিরের পূজামণ্ডপে বিভিন্ন পূজা হয়ে থাকে। মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় দাস সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস।

গণেশ রবি দাস অভিযোগ করে বলেন, ‘এই মণ্ডপে পূজা হলেই স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম এটা নিয়ে মতবাদ তৈরি করে। শনিবার সন্ধ্যার সময় মণ্ডপে পুরুষ কেউ ছিল না। ওই সুযোগে সেলিমের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক মণ্ডপে হামলা চালায়। হামলায় তিনজন নারী আহত হন। এ ছাড়া একটি বিশ্বকর্মা প্রতিমা ভেঙে নিয়ে যায় তারা। একটি নির্মাণাধীন প্যান্ডেল ভাঙচুর করে ও প্রতিমার সরঞ্জামাদি লুট করে নিয়ে যায়।’ 

হামলার কারণ কি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে গণেশ রবি দাস বলেন, ‘সেলিম কালী মন্দিরের এ জায়গা নিজের দাবি করে আসছে। এ নিয়েই সে হামলা চালাতে পারে।’

এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ থানার (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘একটা খাস জমির মালিকানা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। এক পক্ষ পূজার জন্য প্যান্ডেল বানাতে গেলে অন্যপক্ষ বাধা দেয়। এ ঘটনায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে।’