জামিন পেলেন উইলস লিটলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ নয় জন
রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ ন ম সামসুল আলমসহ নয় জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী এই আদেশ দেন।
এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক জামিনের এই আদেশ দেন। এ মমালায় জামিন পাওয়া অপর আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা শাখা) মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক ফয়সাল শামীম, মো. আতিক, ফেরদৌসী সুমী, তরিকুল আজম খান, প্রীতিশ বিশ্বাস এবং সিকিউরিটি গার্ড জিয়াউল হক জিয়া ও মাসুদ রানা। আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) রাকিব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা এবং প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য শফিকুর রহমান। এজাহারে বলা হয়েছে, বাদী উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক শাখায় ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গভর্নিং বডির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তার ছেলে তাইফুর রহমান (নাহিয়ান) ২০২২ সালে এই স্কুলের ৯ম শ্রেণির মানবিক (দিবা) শাখার ছাত্র ছিল। শফিকুর রহমান গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি থাকার সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বাংলা মাধ্যম দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনকে (দুই নম্বর আসামি) সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার কুকীর্তির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়। সেই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বাদী শফিকুর রহমান। এসময় নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেন বরাবর এক প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি।
এজাহারে আরও বলা হয়, এরপর থেকে আসামিরা তাকে ও তার ছেলে নাহিয়ানের প্রতি বিরূপ আচরণসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। তারা কারণে-অকারণে নাহিয়ানকে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে রাখা, ছোট করে কথা বলা, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে হেয় করা এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাতেন। একপর্যায়ে নাহিয়ান শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।