টানা বৃষ্টিতে ডুবল খুলনার নিম্নাঞ্চল

Looks like you've blocked notifications!
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বৃষ্টিপাতে খুলনা নগরীর রাস্তায় পানি : ছবি : এনটিভি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে খুলনায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে বেড়ে গেছে। আর এতেই নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নগরীর ঘাটগুলোতে বন্ধ রয়েছে পণ্য উঠা-নামা। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট অধিক উচ্চতার  জোয়ার হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া ভারী বর্ষণের কথাও জানিয়েছে তারা।

অন্যদিকে, মিধিলির প্রভাবে গতকাল সন্ধ্যা থেকে থেমে বৃষ্টিপাত হলেও আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে খুলনায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। পানির নীচে তলিয়ে গেছে খান জাহান আলী সড়ক। পানির মধ্য দিয়েই চলাচল করছে যানবাহন।

আজ সকাল সাড়ে ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ঘূর্ণিঝড়টি ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।