পাবনায় সাংবাদিক উৎপল মির্জার বাড়িতে হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি

Looks like you've blocked notifications!

টিআইবির পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক ও মাছরাঙা টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো চিফ উৎপল মির্জার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে পাবনা প্রেসক্লাব। 

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দিনগত রাতে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।

পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রবীণ সাংবাদিক ও পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোস্তাফিজুর রহমান চন্দন, একুশে টিভির সাংবাদিক রাজিউর রহমান রুমী, সাবেক সম্পাদক আহমেদ উল হক রানা, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী বাবলা, দৈনিক বিবৃতির সম্পাদক ইয়াসিন আলী মৃধা রতন, প্রথম আলোর প্রতিনিধি সরোয়ার উল্লাস, দৈনিক আজকের ইতিহাসের সম্পাদক আয়ুব আলী, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি কলিট তালুকদার, ৭১ টিভির প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, এটিএন নিউজের রিজভী জয়, গাজী টিভির সাংবাদিক ইমরোজ খন্দকারসহ স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা। সভাটি সঞ্চালনা করেন পাবনা প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল।

প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিক উৎপল মির্জার বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। বক্তারা বলেন, উৎপল মির্জা একজন মূলধারার দেশবরেণ্য টিআইবি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক। তার বাবা মির্জা শামসুল ইসলাম বৃহত্তর পাবনা জেলাতে সুনামের সঙ্গে সাংবাদিকতা করে গেছেন। দেশ স্বাধীনের আগে থেকে তার বাবা বৈধভাবে পরিবারসহ বসবাস করে আসছেন এই  বাড়িতে। জেলা সদরের পৌর এলাকার দিলালপুর কফিলউদ্দিন মহল্লায় ৬০ বছরের বসবাস তাদের। কিন্তু হঠাৎ করে সন্ত্রাসী কায়দায় একটি চক্র সেই বসতবাড়ি অবৈধভাবে দখল করে নেওয়ার জন্য হামলা চালায়। একইসঙ্গে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক উৎপল মির্জাকে হত্যার হুমকি এবং বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়। এ ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি আদালত থেকে আগাম জামিন লাভ করেন। এতে সাংবাদিক উৎপল ও তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।  

এ ঘটনায় বাকি জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনকে আরও কঠোর ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান বক্তারা। জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন সাংবাদিক নেতারা। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, হয়রানি ও বসতবাড়ি দখলের মতো ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।