পুলিশ ককটেল নিক্ষেপকারীদের পালাতে সাহায্য করেছে : আফরোজা আব্বাস

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় ককটেল নিক্ষেপকারী হেলমেট পরা দুজনকে পুলিশই পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস। আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে  আফরোজা আব্বাস এ অভিযোগ করেন।

আফরোজা আব্বাস বলেন, আমার বাসার দুই গেটে দুজন দারোয়ান ছিল। দারোয়ান আমাকে বলল, কালো পোশাক ও হেলমেট পরে দুজন হামলা করেছে। তারা একই মোটরসাইকেলে ছিল। হামলার সময় বাসার বাইরে পুলিশের তিন-চারটি মোটরসাইকেল ছিল। হামলাকারীদের ধরার জন্য দারোয়ান পুলিশকে বললে, পুলিশ তাদের না ধরে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।

এর আগেও বাসায় হামলা হয়েছে উল্লেখ করে আফরোজা আব্বাস বলেন, আগেও হামলা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারা দেশে এমন তাণ্ডব চালিয়ে বিরোধীদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। আর তাদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে পুলিশ।

সরকার দলীয় লোকেরা বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে দাবি করে আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলেছি ওদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন আপনারা। ওদের সামনে থাকেন আপনারা, পেছনে থাকেন আপনারা। আজকে যারা হামলা করল, তারা অবশ্যই সরকার দলীয় লোকজন। প্রশাসনের সহায়তায় এই হামলা করেছে।’

সোমবার (২০ নভেম্বর) সারা রাত বাসার আশপাশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন ঘোরাঘুরি করেছে অভিযোগ করে আফরোজা আব্বাস বলেন, তারা সাংবাদিক পরিচয়ে ঘোরাফেরা করেছে। আমার বাসায় সিসি ক্যামেরা আছে, রাস্তায়ও আছে।  ককটেল উদ্ধারের পর সেগুলোর ছবিও তুলতে দেওয়া হয়নি। কারণ পুলিশ কোনো প্রমাণ রাখতে চায় না।

এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না জানতে চাইলে আফরোজা আব্বাস বলেন, হামলাকারীদের ধরতে না পারলে, নিরাপত্তা দিতে না পারলে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। কিন্তু মামলা তো নেয় না। এর আগেও হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি। আদালতও মামলা নেয়নি। এই সরকার থাকলে আমরা কোনো দিন ন্যায়বিচার পাব না।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা আব্বাস। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন।