আমরা চাই–দুনিয়ার সব শ্রমিকরা ভালো থাকুক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ছবি : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘আমরা চাই, দুনিয়ার সব শ্রমিকরা ভালো থাকুক।’ তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সুন্দর সুন্দর প্রোগ্রাম নিয়ে আসে, তাহলে স্বাগত জানানো হবে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

শ্রম অধিকার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন মেমোরেন্ডামের বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়, প্রেসিডেন্ট জনসন যখন আসলেন, তখন তিনি একটি বিশাল প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছিলেন, ‘দ্য লিভ ফর ওয়ার্ক’। উনি চেয়েছিলেন, দুনিয়া থেকে দারিদ্র্য দূর করবেন। অ্যান্ড দ্যাট ওয়াজ অ্যা গ্রেট প্রোগ্রাম। এর ফলে বিশ্বের অনেক দেশে দারিদ্র্য অনেক কমেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সম্প্রতিকালে আমেরিকার মতো বিশ্বের সবচেয়ে ধনি দেশ, যেখানে তাদের পারক্যাপিটাল ইনকাম (মাথাপিছু আয়) ৬৫ হাজার ডলার। ধনি দেশ, সেই দেশ যদি দুনিয়ার মজদুরদের জন্য একটা ভালো প্রোগ্রাম নিয়ে আসে—ওদের উন্নয়নের জন্য, জীবনমানের উন্নয়নের জন্য, দ্যাট উড বি অ্যা গ্রেট ইনিশিয়েটিভ।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করব, আমেরিকার মতো এত শক্তিশালী দেশ, এত ধনী দেশ, সবচেয়ে ধনি দেশ তারা পৃথিবীর এই ক্লাইমেট, আবহাওয়াবিষয়ক যে সমস্যা সেইগুলো দূর করার জন্য একটা প্রোগ্রাম নিয়ে আসবে। আমি আশা করব, দুনিয়ার মজদুররা কষ্টে আছে, তাদের জন্য তারা একটা পলিসি প্যাকেজ নিয়ে আসবে। আমি আশা করব, দুনিয়ার উদ্বাস্তু লোক, মাইগ্রেন্ট, এই যে পপুলেশন এদের জন্য তারা প্রোগ্রাম নিয়ে আসবে। কারণ, পৃথিবীর সবার আশা-আকাঙ্ক্ষা আমেরিকা। তারা লাস্ট রিজিয়ন।’ 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমেরিকা যদি এমন সুন্দর সুন্দর প্রোগ্রাম নিয়ে আসে, উই উইল ডেফিনেটলি মোস্ট ওয়েলকাম। আমরা চাই, দুনিয়ার সব শ্রমিকরা ভালো থাকুক।’ 

প্রেসিডেন্ট বাইডেন শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, শ্রম অধিকার ও শ্রমিকদের মানসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওই প্রেসিডেনশিয়াল মেমোরেন্ডাম সই করার পর ১৬ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে বলেন, যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবেন, শ্রমিকদের হুমকি দেবেন কিংবা ভয় দেখাবেন, তাদের ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

শ্রম অধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ নীতির বিষয়ে জানাতে গিয়ে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পোশাক খাতের শ্রমিক আন্দোলনের নেতা কল্পনা আক্তারের নামটিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কল্পনা জানিয়েছেন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তার পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং এ জন্য তিনি (কল্পনা) এখনও বেঁচে আছেন।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের দূতাবাসের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, যদিও স্মারকটি একটি বৈশ্বিক নীতি, যা সব দেশের ওপর আরোপিত হতে পারে; তারপরও এটা বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে বাংলাদেশ এই নীতির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। স্মারকটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত শ্রমমন্ত্রী বাংলাদেশের শ্রম–সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।