ভুল রাজনীতির কারণে বিএনপি আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে : হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘জনগণ ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপির প্রতি মানুষের ঘৃণা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভুল রাজনীতির কারণে তারা ধীরে ধীরে আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।’
আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ায় নাগরিক পরিষদের আয়োজিত এক সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন হানিফ।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতেও জনগণবিরোধী কাজ করেছিল, হাওয়া ভবন বানিয়ে লুটপাট-দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। দেশটাকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়েছিল। বিদেশি জঙ্গিদের অস্ত্র সরবারহ করেছিল, তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল। যার কারণে বাংলাদেশটা পৃথিবীর কাছে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। জনগণ এই সমস্ত অপকর্মের কারনে বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণ তাদেরকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছিল।’
হানিফ বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক জনক হলেও বিএনপি এখনও শিক্ষা গ্রহণ করেনি। বিএনপি ক্ষমতার বাইরে থেকেও একই কাজ করছে। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে বাস-ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার করেছে। এ কারণে জনগণ তাদেরকে আবারও ধিক্কার দিয়ে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে। সেই বিএনপি এখন আবার নতুন করে নির্বাচন বানচাল করার জন্য আন্দোলনের নামে বাস-ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তারা ভাবছে, এতেই তাদের খুব সফলতা হচ্ছে।’
হানিফ আরও বলেন, ‘বিএনপির এখন রাজনৈতিক সফলতা হচ্ছে বাস-ট্রেনে আগুন দেওয়া। এটা একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। চোরাগোপ্তা দুয়েকটি জায়গায় বোমা ফাটিয়ে বা দুই-একটা জায়গায় বাসে আগুন দিয়ে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। দেশের মানুষ বিএনপির প্রতি আস্থাও রাখে না এবং এই দলটার প্রতি ক্রমান্বয়ে মানুষের ঘৃণা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘বিএনপির মূল নেতৃত্বই তো লোভী, দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত। যে দলের শীর্ষ নেতারাই বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডিত হয়, সেই দলের নেতাদের সম্পর্কে এ রকম যদি কেউ ভাবে, এটা অস্বাভাবিক কিছু না।’