সরকার পরিকল্পিতভাবে সারা দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে : সেলিমা রহমান

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

সরকার পরিকল্পিতভাবে সারা দেশে শান্তি বাহিনীর মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান এসব কথা বলেন।

চিকিৎসকদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চিকিৎসকদের এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

সেলিমা রহমান বলেন, ‘আজকে সারা দেশের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছেন। জনগণ আপনাদেরকে রুখে দেবেন। দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে এবং সরকারের নির্বাচন-নির্বাচন নাটক রুখে দিতে হবে। আসুন, আমরা এই সরকারকে না বলে তাদের নাটকের ইতি ঘটাই।’

বেগম সেলিমা বলেন, ‘আমরা কোন দেশে বাস করছি? আজকে গুম-খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা তাদের কথা বলতে পারে না। মানবাধিকার দিবস সামনে রেখে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কর্মসূচি করতে দেয়নি। সরকার এত ভীতু, তাদেরকে কর্মসূচি করতে দেয় না।’

বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের জীবন চলে, সেই পুলিশ বেআইনিভাবে দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তার করছে। তারা গণতন্ত্রের আন্দোলন রুখে দিতে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে। শান্তি বাহিনীর মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমরা যখনই সমাবেশ দিই, তখনই তারা পাল্টা শান্তি সমাবেশ করে। শান্তি বাহিনীর মতো বিএনপি ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। মনে রাখবেন, এটাই শেষ দিন নয়।’

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জিয়া পরিষদের ডা. আবদুল কুদ্দুস, ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. এম এ সেলিম, উপদেষ্টা ডা. রফিকুল কবির লাবু, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক আমীরুল ইসলাম কাগজী, ডা. শহীদুল আলম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. মো. শহীদ হাসান, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. ওবায়দুল কবির খান, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, জাহিদুল করিম কচি, নার্সেস এসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকী, ডিইউজের রাশেদুল হক ও সাঈদ খান, ডা. এম এ কামাল, প্রকৌশলী মো. হানিফ, ডা. জাহানারা লাইজু, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।

মানববন্ধনে চিকিৎসকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. দিদারুল আলম, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. তৌহিদুল ইসলাম জন, ডা. জিয়াউর রহমান, ডা. আশফাকুর রহমান শেলী, ডা. এস এম মাসুম বিল্লাহ, ডা. এম এ ওহাব, ডা. রুস্তম আলী মধু, ডা. এম এ লতিফ, ডা. জালাল উদ্দিন রুমি, ডা. মশিউর রহমান কাজল, ডা. বাসেদুর রহমান সোহেল, ডা. জাহিদ হাসান, ডা. মো. সায়েম, ডা. কাজী মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম, ডা. মাসুদ রানা, ডা. কায়সার ইয়ামিন ইসাদ, ডা. গালিব হাসান, ডা. আরেফিন রঞ্জু, ডা. রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ডা. ইব্রাহিম রহমান বাবু, ডা. রাফসান জানি আবির, ডা. তানজিম রুবাইয়্যাত আফিফ, ডা. শেখ মাহবুব, দবির উদ্দিন তুষারসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।