স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মীদের ৪ বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ

Looks like you've blocked notifications!
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি। ছবি : এনটিভি

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থীর চার কর্মী-সমর্থকের বাড়িঘরে লুটপাটের পর হামার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সরকারদলীয় প্রার্থীর লোকদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাতভর উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। দোষীদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

আজ শনিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানায়, গতকাল রাতভর উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্ববাসন কেন্দ্রের ২ নং ওয়ার্ডে দফায় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রূপগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শাহজাহান ভুঁইয়ার জন্য নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে নৌকার প্রার্থীর সমর্থক কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সমসের আলী ও তার লোকেরা এ হামলা চালায় বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেন। 

আওলাদ হোসেন জানান, ইউপি সদস্য শমসেরের নেতৃত্বে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন হামার, শাবল নিয়ে প্রথমে তাঁর বাড়িতে হামলা করে। পরে বাড়ির সব মালামাল লুট করে দরজা-জানালা ভেঙে বাড়ির ইটসহ খুলে নিয়ে যায় তারা। এরপর রাত ৩টা পর্যন্ত একে একে নুরুন নাহার, ওমর ফারুক খাজা ও সামছুন্নাহারের বাড়িঘরেও একই কায়দায় ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বাড়ির মালিক আওলাদ হোসেন, তাঁর স্ত্রীসহ আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকেও মারধর করে তারা। 

আওলাদ হোসেনের দাবি, হামলা ও লুটপাটে তাঁদের অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন জানান, সরকারি পরিষেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রাতে তাঁরা হামলার বিষয়টি জানতে পারেন। পরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন দাবি করে দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শমসেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।