একদিনে পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কীভাবে বাড়ে, প্রশ্ন বাণিজ্য সচিবের

Looks like you've blocked notifications!
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পরেই দেশের বাজারে হুড়মুড়িয়ে বাড়ে পেঁয়াজের দাম। এক রাতের ব্যবধানে রন্ধনশিল্পে বহুল ব্যবহৃত এই পণ্যের। কীভাবে এক রাতের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা বাড়ে, ব্যবসায়ীদের প্রতি এমন প্রশ্নই রেখেছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়োজিত অনুষ্ঠানে আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘যিনি একদিন আগে ১২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করলেন, পরদিন কীভাবে সেটার দাম ২০০ টাকা হয়ে গেল? দাম বাড়তে তো সময় লাগার কথা। কিন্তু, এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা বাড়তি লাভের আশায় কোনো নৈতিকতা দেখালেন না। ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে জনগণের জন্যই তাদের ব্যবসা। আপনার লাভ ছাড়া ব্যবসা করবেন না, জানি।’

বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘নিত্যপণ্যের সংকট তৈরি হলেই অনেক ব্যবসায়ী এর সুযোগ নিয়ে থাকেন। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল, আর দেশে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেল। এটা ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ নয়।’

জাতীয় ভ্যাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। সেই কারণে দেশে ঠিক পরদিন, এটাকে কেন্দ্র করে এতো দামে পেঁয়াজ বিক্রি হবে, এটা হতে পারে না।’ বিভিন্ন পণ্যে কর কমানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর কথা বলে থাকি। যেটা জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক আছে।’

ব্যবসার বিকাশে এনবিআরকে কাজ করতে হবে জানিয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘শিল্পায়নের স্বার্থে আমরা কর অব্যাহতির কথা বলে আসছি। দেশে বাণিজ্যের বিকাশ চায়। আমদানি ক্ষেত্রে সুবিধা চায়। রপ্তানিতে ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়াতে চাই।’ 

শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘২০২৯ সালের পর শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকবে না। তখন ডিউটি শূন্য করতে হবে। রাজস্ব লস হবে। ৪৩ পণ্যে প্রায় ১২ হাজার টাকা ক্যাশ ইনসেন্টিভ দিয়ে থাকি।’

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা হয়রানি ছাড়া ব্যবসা করতে চায়। হয়রানি বন্ধ করুন। আমরা কর ও ভ্যাট দিতে চাই, দিতে আগ্রহী। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অনেক এগিয়ে এসেছে। আরও এগিয়ে যেতে চায়। হয়রানি না করলে ব্যবসায়ীরা এনবিআরের সঙ্গে সব সময় আছে, থাকবে।’