মায়ার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১৫ নেতাকর্মী আহত

Looks like you've blocked notifications!
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন চাঁদপুর-২ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান। ছবি : এনটিভি 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রমের অনুসারীদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসানের ১৫ নেতাকর্মী আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

আজ শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মতলব উত্তরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হামলার এ অভিযোগ করেন এম ইসফাক আহসান।
এম ইসফাক আহসান বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই আমার লোকজনের ওপর হুমকি-ধমকিসহ মারধর করে আসছিল মায়া চৌধুরীর লোকজন। এ নিয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও থামেনি হামলা ও নির্যাতন।’

ইসফাক আহসান বলেন, ‘গতকাল ও আজকে নেতাকর্মীরা আমার বাসায় আসার পথে নৌকার প্রার্থী মায়া চৌধুরীর লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম, মতলব উত্তর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তামিম, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি হাসান শান্ত, আরাফাত হোসেন নিপু, রিহান, তাহসিন, মুরাদ ও শান্ত সরকারসহ ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। পরে আহতদের চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা  হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।’

ইসফাক আহসান বলেন, ‘নেতাকর্মীদের ওপর এমন হামলা ঘটনায় সাধারণ ভোটাররা সন্ত্রস্ত। এভাবে চলতে থাকলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আজকের ঘটনায় আমি আবারও লিখিত অভিযোগ জানাবো কর্তৃপক্ষের কাছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে সকলের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাই, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনি পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য।’

উল্লেখ্য, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৌকা প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছে গত ৪ ডিসেম্বর ব্যাখ্যা চায় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম। এর প্রেক্ষিতে মায়ার পক্ষের আইনজীবী লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেন।

ঘটনার সত্যতা জানিয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদ মোবারক বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি।’ 

এ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’