বিএনপি সর্বহারা পার্টির মতো গুপ্তহত্যা শুরু করেছে : নানক
বিএনপি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ‘পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির’ মতো গুপ্তহত্যা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনে নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আজ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের আগারগাঁওয়ের তালতলায় সরকারি কলোনির শতদল কমপ্লেক্স কোয়ার্টারের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিযোগ করেন নানক।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বিএনপি তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি যেভাবে গুপ্তহত্যায় মজে গিয়েছিল, সেই পথেই বিএনপি-জামায়াত রয়েছে। উৎসবের নির্বাচনে তারা বাধা সৃষ্টি করছে। মানুষ যখন নির্বাচনমুখী, তখন তারা নির্বাচনের বিপক্ষ শক্তি হয়ে দাঁড়িয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন ও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।’
শনিবার সকালে আগারগাঁও তালতলার সরকারি কলোনির শতদল কমপ্লেক্স কোয়ার্টারের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ সময় নানকের বিপুল কর্মী ও সমর্থক ওই গণসংযোগে অংশ নেন। ‘নৌকা নৌকা’ স্লোগান মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
এ সময় সাংবাদিকদের নানক বলেন, ‘আমার প্রচারাভিযানে এসে দেখছি, নির্বাচনের আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে এলাকায়। এই নির্বাচনি আসনে ২০০৮ সাল থেকে আমি ১০ বছর সংসদ সদস্য ছিলাম। এই এলাকাটি মাদকের স্বর্গরাজ্য ও সন্ত্রাসপূর্ণ মুখথুবড়ে পড়া এলাকা ছিল। এলাকায় পানির সংকট, জলাবদ্ধতা ও সুয়ারেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। এখানে বিএনপি বস্তি নামে একটি মাদকের পাইকারি বাজার ছিল। এলাকাটিতে এমপি নির্বাচিত হবার পর আমি মাদক ও সন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন করেছি। এলাকাটির পানির সংকট সমস্যার সমাধানসহ, মৌলিক সমস্যার সমাধান, মুখথুবড়ে পড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছি। এই এলাকার আস্থার ঠিকানা, বিশ্বাসের জায়গা আমি। সেই আস্থা, বিশ্বাসের জায়গা থেকে মানুষ আমার কাছে কোনো প্রতিশ্রুতি চায় না। মানুষ জানে, এই এলাকার উন্নয়নে আমি সর্বাত্মক নিজেকে নিয়োগ করব।’
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আগামী ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে আমার নির্বাচনি এলাকাসহ সারা দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এই ভোট উৎসবে দেশের মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। এই উৎসবে মাতোয়ারা যখন দেশের মানুষ, তখন বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করতে চায়।’
শেরেবাংলা নগর এলাকায় কোনো নতুন পরিকল্পনা আছে কি না, জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘এই এলাকা সেকেন্ড ক্যাপিটাল খ্যাত বর্ধিষ্ণু এলাকা। এলাকাটিকে আমি তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করেছি। এলাকাটিতে আগে কোনো রাস্তাঘাট ছিল না। এখনও কমিউনিটি সেন্টারসহ বহুবিধ সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যাগুলো আমি সমাধান করব, ইনশাল্লাহ।’
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফোরকান হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুলসহ শেরেবাংলা নগর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।