প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা ছাড়া কেউ সংসদে যেতে পারছে না : নাগরিক ঐক্য

Looks like you've blocked notifications!
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এমন এক মুহূর্তে নাগরিক ঐক্যের দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুকম্পা না পেলে কেউ সংসদে যেতে পারছে না। কিংস পার্টি নামে পরিচিতি পাওয়া দলগুলোও তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামলাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে। সব দলের সভানেত্রীর দায়িত্বই প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হচ্ছে। 

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এসব দাবি করে বলেছেন, ‘পাঁচ বছর আগে এই সরকার দ্বারা গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করার সূচনা হয়েছিল। আগের রাতে ভোট করে পরদিন ঘোষণা দিয়েছে। এবার তারা কাকে কত ভোট দেবে, তালিকা করছে। আওয়ামী লীগ যে গণতান্ত্রিক দল ছিল সেখান থেকে তারা এখন ডাকাতের দলে পরিণত হয়েছে।’ 

আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘নিশিরাতের ভোট ডাকাতির পাঁচ বছর ও আবারও একতরফা ডামি নির্বাচনের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সমাবেশ ও গণমিছিলে মান্না আরও দাবি করেন, মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারকে গতকাল তাদের দলেরই একাধিক নেতা ‘জাতীয় বেইমান’ বলেছেন। পাশাপাশি দলের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ কামনা করেছেন তারা। প্রসঙ্গটি সামনে এনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এখন শুধু আওয়ামী লীগের নন, তাকে সব দলেরই সভানেত্রীর দায়িত্ব নিতে হচ্ছে।’

হবিগঞ্জে পুলিশের হেফাজতে বিএনপির এক কর্মীর মৃত্যু’ হয়েছে দাবি করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার পুলিশকে দানবে পরিণত করেছে। তাদের দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের খুন, হুম, হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করছে।’

সমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আওয়ামী লীগের তৈরি করা কিংস পার্টির লোকজন এসে কান্নাকাটি করে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী যেন তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করেন। এই দলগুলো তার অনুকম্পা না পেলে কেউ সংসদে যেতে পারবে না। তার ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগ সহিংসতাকে এবার নিজেদের দলের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। দলের লোকজন খুন হচ্ছে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ২০১৪ সালের পর আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। গত ১৫ বছরে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়েছে তারা। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম এবং জেএসডির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব।