বাগেরহাট জেলা কারাগারে যুবদলনেতার মৃত্যু
নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বাগেরহাট কারাগারে থাকা কামাল হোসেন মিজান (৪৫) নামের এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে মৃত অবস্থায় তাঁকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন মিজান গ্রেপ্তারের পর ৫৩ দিন ধরে বাগেরহাট জেলা কারাগারে ছিলেন।
কামাল হোসেন মিজান বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাঙ্গা গ্রামের মোকলেছ হোসেনের ছেলে।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম জানান, যুবদলনেতা কামাল হোসেন পরিবার নিয়ে খুলনাতে থাকতেন। তিনি সেখানেই যুবদল করতেন। গেল নভেম্বরে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেলে পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে একটি গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তার (ইএমও) মো. ফয়সাল ইসলাম স্বর্ণ বলেন, রাত সোয়া ১১টার দিকে ওই হাজতিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কারাগার সূত্র জানায়, গত ১১ নভেম্বর একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কামাল হোসেনকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা কারাগারের জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) শংকর কুমার মজুমদার বলেন, হাজতি কামাল হোসেন রাত ১০টা, সাড়ে ১০টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন। এর মধ্যে সার্ডেনলি আনকনসাসনেস হয়ে যান। আশপাশের সিটে যারা আছেন, তাঁরা দেখে তাঁকে কারাগারে হাসপাতালে নিয়ে যান। আমরা তাঁকে এখান থেকে জরুরি ভিত্তিতে জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর ওরা বলছে মারা গেছে।
এদিকে যুবদলনেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এম এ সালাম প্রমুখ।