ভোটের দিন গণকারফিউ ঘোষণা ১২ দলীয় জোটের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকি দুদিন। আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার। মাঠে নেমেছেন ৬৫৩ হাকিম। এরইমধ্যে ভোটের দিন ৭ জানুয়ারি গণকারফিউয়ের ডাক দিয়েছে ১২ দলীয় জোট। এদিন সকাল-সন্ধ্যা গণকারফিউ পালন করবে তারা। জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি—আপনার ঘর থেকে বের হবেন না, ভোট দিতে যাবেন না।
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের দাবি, বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই ভারতীয়রা খুব তৎপর হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক মহলে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক দেখাতে গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা আবারও সক্রিয় হচ্ছে। জোট নেতারা দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকায় নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও অসহযোগ আন্দোলন সফলের লক্ষ্যে ১২ দলীয় জোটের গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতারা এসব দাবি করেন।
এ সময় ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা গণকারফিউ ঘোষণা করেছিলেন। ইনশা আল্লাহ ২০২৪ সালে জনগণের গণকারফিউ শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আগামী ৭ তারিখ ফেলানী হত্যা দিবসে অবৈধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আমাদের আফসোস হয়, আমার বোন ফেলানীকে দিল্লি যেভাবে কাটা তারে ঝুলিয়ে রেখেছে, ঠিক একইভাবে ৭ তারিখের নির্বাচনের পর বাংলাদেশকে দিল্লির দাদা-বাবুরা ঝুলিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে ‘
জোটের এই নেতা বলেন, কথাবার্তা পরিষ্কার! দিল্লির প্রেসক্রিপশনে আগামী ৭ তারিখ পুতুলখেলা নির্বাচন বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না, ইনশা আল্লাহ।
গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে আরও বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম প্রমুখ।