বিজয় মিছিলে বোমা হামলায় আহত হয়ে মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর বিজয় মিছিলে বোমা হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এমারত সরদার। ছবি : এনটিভি

মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর বিজয় মিছিলে বোমা হামলায় আহত এমারত সরদার নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বোমা হামলার ঘটনা ঘটে গত ৮ জানুয়ারি (সোমবার) বেলা ১১টার দিকে কালকিনি উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের ফাসিয়াতলা বাজারে। এই ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি করেছে নিহত এমারত সরদারের পরিবার।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে,  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে পরাজিত করে বিজয়ী হন স্বতন্ত্রপ্রার্থী তাহমিনা বেগম। পরে ৮ জানুয়ারি (সোমবার) সকালে তাহমিনার সমর্থক আলিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কালিগঞ্জ থেকে ফাসিয়াতলা বাজারের যাওয়ার পথে মিছিলে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে। এতে আহত হন অন্তত ১০ জন। তাঁদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে। গুরুতর আহত  হন এমারাত সরদার নামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মী। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ দুপুরে ঢাকার প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি করেছে নিহত এমারতের পরিবার।

নিহত এমারতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে বিজয় মিছিলে বোমা মেরে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। পরে আজ বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান।  আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

নিহতের ছেলে অহিদ সরদার বলেন, ‘আমার বাবা স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থক ছিলেন। নির্বাচনের পরের দিন বিজয় মিছিলে শাহিদ পারভেজ চেয়ারম্যানের নির্দেশে বাবার ওপর বোমা নিক্ষেপ করে সন্ত্রসীরা। পরে আমার বাবা ঢাকাতে মারা গেছেন। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

প্রাইম জেনারেল হসপিটালের সিইও ডা. গোলাম মস্তফা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের হাসপাতালের এমারতকে বেশকিছু চিকিৎসা দেই। তবে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মারা যান।

মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার কর্মীকে পরিকল্পিত ভাবে বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে। আমি দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার চাই।

পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং হামলায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।