মজুদবিরোধী অভিযান, ধানের গোডাউন সিলগালা

Looks like you've blocked notifications!
দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় মেসার্স ওরিয়েন্টাল অ্যাগ্রোর একটি ধানের গোডাউন সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ছবি : এনটিভি

দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় মেসার্স ওরিয়েন্টাল অ্যাগ্রোর একটি ধানের গোডাউন সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে মজুদবিরোধী আভিযানিক দল গোডাউনটি সিলগালা করে দেয়।

মেসার্স ওরিয়েন্টাল অ্যাগ্রোর দুটি গোডাউনে এক মাসের অধিক সময় ৩০০ মেট্রিক টনের বেশি ধান মজুদ রাখার অভিযোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিরল উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা বহ্নি শিখা আশা উপস্থিত হয়ে এক মাসের অধিক ধান মজুদ রাখার অপরাধে গোডাউনটি সিলগালা করে লাইসেন্স বাতিল ও নিয়মিত মামলার নির্দেশনা দেন। 

অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ গোলাম মাওলা, সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক (দিনাজপুর) মোহন আহমেদ, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি) ফিরোজ আহমেদ, সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সিংহ, বিরল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. আতোয়ার হোসেন, সিএসডি দিনাজপুরের খাদ্য পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম, বিরল খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর রাহাদ রুমন প্রমুখ। 

দিনাজপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, গতকাল বুধবার খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার জরুরি সভায় অবৈধ মজুদের কারণে ধান ও চালের দাম যাতে বেড়ে না যায় সেজন্য  মজুদবিরোধী অভিযান পরিচালনার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি এই গোডাউনে ছয় মাস ধরে অবৈধভাবে ধান মজুদ করে রাখা হয়েছে। সে অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আমরা প্রমাণ পাই তার লাইসেন্সে মজুদ ক্যাপাসিটি রয়েছে ৩০০ মেট্রিক টন। কিন্তু তারও অধিক ধান মজুদ রয়েছে (পাঁচ হাজার বস্তারও বেশি)। তাঁর লাইসেন্সে মজুদের নির্ধারিত সময় এক মাস, কিন্তু গোডাউনে ছয় মাসের অধিক সময় বোরো মৌসুমের বিআর ২৮ জাতের ধান মজুদ রয়েছে।’

বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বহ্নি শিখা আশা অভিযান পরিদর্শন করে গোডাউন সিলগালা এবং লাইসেন্স বাতিল ও নিয়মিত মামলার নির্দেশনা দিয়েছেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়মিত মামলা হবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত আদালত গ্রহণ করবেন। 

মেসার্স ওরিয়েন্টাল অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী রফিক মতি বলেন, ‘আমার লাইসেন্সে ৩০০ মেট্রিক টন ধান মজুদ রাখার অনুমতি রয়েছে। সে অনুযায়ী আমার গোডাউনে ৩০০ মেট্রিক টনের কম ধান আমি মজুদ রেখেছি। যার বেশিরভাগই আমার নিজের জমির ধান। সামান্য কিছু ধান কৃষকের রয়েছে।’