বিশ্ব ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করবে ছয় হাজার পুলিশ : জিএমপি কমিশনার

Looks like you've blocked notifications!
বিশ্ব ইজতেমা মাঠে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জিএমপি কমিশনার মাহবুব আলম। ছবি : এনটিভি

বিশ্ব ইজতেমায় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। এখন কোনো সমস্যা নেই। এবারের বিশ্ব ইজতেমায় কোনো হকার বসতে দেওয়া হবে না। দুই পর্বেই ছয় হাজার পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশ ছাড়াও আনসার, র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী প্রতি বছরের মতো নিয়োজিত থাকবে।

আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে বিশ্ব ইজতেমার দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা সভা শেষে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মাহবুব আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জিএমপি কমিশনার বলেন, বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে দায়িত্ব পালন নিয়ে কথা হয়েছে এবং কিছু অমীমাংসিত বিষয়ের মীমাংসা হয়েছে। দুই পক্ষই একমত হয়েছে।

বিশ্ব ইজতেমার প্রায় শত ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে জিএমপি কমিশনার বলেন, এখন খালি জায়গাগুলো পূরণ করা হবে।

সভা শেষে জুবায়ের পন্থীদের প্রতিনিধি প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষ বসেছিলাম। সব বিষয়ে ফয়সালা হয়েছে। এখন আর কোনো ঝামেলা নেই।’

এই গ্রুপের সুরা সদস্য আহাম্মদ আলী বলেন, ‘৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ফাঁকা জায়গার সামিয়ানা বিভিন্ন জেলা থেকে আসবে।’

সামিয়ানার সংকট কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুরা সদস্য আহাম্মদ আলী বলেন, কোনো সংকট নেই। ইজতেমার জায়গা বেড়েছে তাই চাহিদাও বেড়েছে।

সাদ গ্রুপের প্রতিনিধিদলের প্রধান রেজাউল করিম বলেন, সমঝোতা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।

এই গ্রুপের সুরা সদস্য মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, কিছু দামি জিনিসপত্র ওরা নিয়ে গিয়েছিল গত বছর। সেগুলোর বিষয়ে কথা হয়েছে।

এদিকে, বিশ্ব ইজতেমার মূল ময়দানের অনেক অংশ এখনও ফাঁকা রয়েছে। শেষ হয়নি মূলমঞ্চের কাজও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দিয়াবাড়িতে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ময়দান প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা বন্ধ হওয়ার পর ওই মাঠ থেকে সামিয়ানাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম এখনও টঙ্গী ময়দানে আসেনি। ফলে আয়োজনে সংকট চলছে। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, জুবায়ের পন্থীদের প্রতিনিধি প্রকৌশল মেজবাহ উদ্দিন, সাদ পন্থীদের আমির রেজাউল করিম সাদ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিশ্ব ইজতেমা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের প্রতিনিধিরা।

টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব সম্পন্ন হবে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় পর্ব ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।

২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা।