ইতিহাসের ভয়াবহতম বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ : ১২ দলীয় জোট
দেশব্যাপী কালো পতাকা মিছিল করেছে ১২ দলীয় জোট। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তি, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সংসদ বাতিলসহ এক দফা দাবি আদায়ে মিছিল করে তারা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে বিজয়নগর থেকে জোটনেতারা মিছিল নিয়ে পল্টনের আল-রাজী কমপ্লেক্সের সামনে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে।
এ সময় জোটের শীর্ষ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, তথাকথিত ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ভুয়া সাংসদদের নিয়ে আজ অবৈধ সংসদ অধিবেশন বসছে। এই নীতিবর্জিত প্রহসনের সংসদকে দেশবাসীসহ সমস্ত গণতান্ত্রিক বিশ্ব নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, এই সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হোক।
বক্তারা আরও বলেন, ইতিহাসের ভয়াবহতম বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের দ্বারা গণতন্ত্র বিলুপ্ত, মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী বন্ধুরাষ্ট্র কর্তৃক স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে এবং তথাকথিত উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার পরিবার ও আওয়ামী সিন্ডিকেট লুটেরারা লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে রক্তশূন্য ফ্যাকাসে রোগী বানিয়ে ফেলেছে। ব্যাংকগুলো খোকলা করে ফেলেছে।
বিদেশি ঋণের পাহাড়ের নিচে দেশকে দেউলিয়া বানানোর নব্বইভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়ে গেছে। সরকার ও আওয়ামী লীগের দেশ বিরোধী রাষ্ট্র বিধ্বংসী নিষ্ঠুরতম কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদের সব পথ ও উপায় বন্ধ করে দিয়ে দেশে ভারতীয় তাবেদার একদলীয় শাসনের বাকশাল পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শফি উদ্দিন ভূঁইয়া, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিমসহ ১২ দলীয় ও জোটের শীর্ষ নেতারা।