পুলিশ চাইলে ফুটপাতে কেউ বসতে পারবে না : মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘পুলিশ চাইলে ফুটওভার ব্রিজ কিংবা ফুটপাতে কেউ বসতে পারবে না। এজন্য পুলিশ ও সিটি করপোরেশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ডিএমপির ৪৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র আতিক বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশ ও ডিএনসিসি মিলে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পুলিশকে ডাকা মাত্রই পেয়ে যাই। ডিএমপি ও ডিএনসিসি আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি ঢাকা শহরকে একটি সুন্দর মডেল শহর হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে নিয়ে আমরা ফার্মগেটে একটি ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধন করেছিলাম। সেই ফুটওভার ব্রিজে কোনো হকার বসতে পারে নাই। পুলিশ ইচ্ছা করলে এবং আমরা এক সঙ্গে কাজ করলে এই শহরের সব কিছু সম্ভব, যার প্রমাণ সেই ফুটওভার ব্রিজ। আমরা পুলিশের সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। পুলিশের সঙ্গে ল অ্যান্ড অর্ডার কোঅর্ডিনেশন কমিটি (এলওসিসি) নিয়ে কাজ করছি। যেটি ইতিমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে। যেটি এখন পুলিশ বাহিনী মনিটরিং করে। সেই সঙ্গে আমরা ফান্ডিং করেছি, পুলিশ তাদের অফিসার দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এলওসিসি প্রতিষ্ঠা করেছি ৷ আপনারা জানলে খুশি হবেন আমরা একটি নতুন পদক্ষেপ শুরু করতে যাচ্ছি। সেটি হলো অন স্টপ পার্কিং সুবিধা। এই পার্কিং ডিজিটাল পদ্ধতির জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ডিএমপি এক সঙ্গে কাজ করছি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির মাধ্যমে কিভাবে ঢাকায় ট্রাফিক লাইটগুলোকে আমরা কন্ট্রোল করতে পারি। সেই পরিকল্পনা শুরু হয়েছে।’
মাঠ পর্যায়ের পুলিশের উদ্দেশ্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা রোদ নাই, বৃষ্টি নাই, দিন নাই, রাত নাই; মানুষের পাশে দাঁড়ান। করোনার সময় দেখেছি কীভাবে আপনারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সন্তানরা ফেলে গেলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। আমি বলতে চাই, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে যে পুলিশ বক্সগুলো করছেন আমি অনুরোধ করব, আপনাদের নিয়ে আমরা যৌথভাবে পুলিশ বক্স করে দিব। প্রত্যেকটি পুলিশ বক্সে টয়লেট, পানি ও বসার জন্য ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ বক্স করার জন্য ১০ কোটি টাকা বাজেট করা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি পুলিশ বক্স আধুনিক করে দিব।’
নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের বিষয় আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করতে হলে পুরান গাড়ি জমা দিতে হবে। এ ছাড়া নতুন করে কোনো রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া হবে না৷ এই ধরনের আইন করা ছাড়া উপায় নেই। ঢাকা শহরে এতো গাড়ি কোথায় জায়গা দিব। ঢাকা শুধু গাড়ি আর গাড়িতে ভরে যাচ্ছে।’