মায়ের খোঁজে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে প্রবাসীর তিন শিশু
পাবনার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দা গ্রামের শ্রী কৃষ্ণ কুণ্ডু মালয়েশিয়ায় প্রবাসে। তাঁর স্ত্রী ফরিদপুরে চলে এসেছেন পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে। এখন মায়ের খোঁজে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে এসে আকুতি করছে প্রবাসীর তিন শিশু।
অসহায় তিন শিশু মায়ের খোঁজে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বিষ্ণুদী গ্রামের সুজন কুণ্ডুর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।
প্রবাসী শ্রী কৃষ্ণ কুণ্ডু বড় মেয়ে জানায়, তার বাবা কাজের সন্ধানে প্রায় সাত বছর আগে মালয়েশিয়া যান। সেখান থেকে সব টাকা-পয়সা তার মায়ের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন। এদিকে তার মা পরকীয়া প্রেমিক সুজন কুণ্ডুকে সব টাকা দিয়েছে। সুজনের সঙ্গে তার মায়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তিন দিন আগে তাদের তিন ভাইবোনকে রেখে সুজন কুন্ডুর সঙ্গে পালিয়েছেন তিনি। তারা অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার চাচার সঙ্গে সুজন কুণ্ডুর বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এখানে তার মা ছিল, তাদের দেখে প্রেমিক সুজনকে নিয়ে এখান থেকেও তিনি পালিয়েছেন।
শিশু মেয়েটির আকুতি, ‘আমরা এখন কী করব?’
স্থানীয়রা জানায়, ছয় মাস আগেও দীলিপ কুণ্ডু ও তাঁর ছেলে সুজন কুণ্ডু মাছ বিক্রি করে সংসার চালাতেন। হঠাৎ টাকা-পয়সার মালিক বনে গেছেন। বাড়িতে বিল্ডিং করছেন। এটা কীভাব সম্ভব?
প্রবাসী কৃষ্ণ কুণ্ডুর ভাই সাগর কুণ্ডু বলেন, ‘বিষ্ণুদী গ্রামে বেশ কিছু দিন আগে আমার ভাইয়ের বউ এসেছিল এক বিয়ের অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে সুজনের সঙ্গে পরিচয় তার। মোবাইল ফোন নম্বর ও আদান-প্রদান হয়েছিল। এরপর মোবাইল ফোনে গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। সুজন কুণ্ডু বরিশাল শহরে একটি দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করত। মাঝেমধ্যে পাবনায় যেত। সম্পর্কের শেষ পরিণতি তিন দিন আগে সুজন পাবনায় গিয়ে আমার ভাই বউকে নিয়ে আসে গোপনে। এরপর থেকে আমার ভাইয়ের তিন সন্তান অসহায় হয়ে পড়ে। আমরা এখন এদের নিয়ে বিপদে আছি। কীভাবে এর সমাধান হবে জানি না। আমরা বিদেশি লোক কার কাছে গেলে এর সমাধান হবে বুঝতে পারছি না।’
এদিকে অভিযুক্ত সুজন কুণ্ডু বাড়িতে না থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর বাবা দীলিপ কুণ্ডু বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে নেই এবং ছেলের সঙ্গে যে মেয়েটি এসেছে সেও নাই। আমি এখন এর কী সমাধান দেব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়জুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, এটা মূলত সমাজসেবা অফিসের কাজ। তার পরও আইনগত কোনো দিক থাকলে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নিব।’