‘রাস্তাঘাট বেহাল তাই ভোট চাইতে গিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি’ 

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় সংসদে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্যের সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ছবি : আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক থেকে

পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেছেন, রাস্তাঘাট বেহালের কারণে নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে গিয়ে অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। আজ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

সম্পূরক প্রশ্নে এস এম শাহজাদা বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে অনেকগুলো কাজ, স্কুল-প্রতিষ্ঠান টেন্ডার হওয়ার পর থেকে সেগুলো অর্ধসমাপ্ত হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। এখন অবস্থাটা এমন হয়েছে ওই রাস্তায় কাজ না ধরলেই ভালো হত। কাজগুলো থেমে থাকার কারণে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে বার বার তাগদা দেওয়ার পরও হচ্ছে না। নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে গিয়ে অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু আমরা জানি কাজগুলো চলমান আছে। 

এ বিষয়ে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার কারণে নির্মাণসামগ্রীর দাম অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে রড বিক্রি হত ৫০ হাজার টাকায় সেটা বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ টাকায়। যে সিমেন্ট ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রি হত সেটা সাড়ে পাঁচশ টাকা হয়ে গেছে। যেসব কাজে ঠিকাদাররা অংশগ্রহণ করেছিল, পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদাররা কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেছে। আমরা বাস্তবতাটা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে এ সমস্ত উপকরণের দাম বৃদ্ধি করি। কিন্তু ইতোপূর্বে যে সমস্ত ঠিকাদার কাজ করেছিল তারা বাস্তব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করার কারণে তাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছি, যেহেতু আমাদের আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে যে কাজগুলো তারা বাস্তবায়ন করবে না, সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন টেন্ডার করা ছাড়া আমাদের বিকল্প নেই। এ প্রক্রিয়াটি করতে গিয়ে আমাদের সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। 

মন্ত্রী বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকাসহ অনেক এলাকায় ঠিকাদাররা কাজ পেয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাদের এসব কাজ বাতিল করে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।