সৌদি সরকারের অর্থায়নে দেশে নির্মিত হবে ৯ আইকনিক মসজিদ

Looks like you've blocked notifications!
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বুধবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

বাংলাদেশে সৌদি আরবের সরকারের অর্থায়নে প্রস্তাবিত ৯টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান নিজ কার্যালয়ে এক বৈঠকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলানকে বিষয়টি অবহিত করেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সৌদি সরকারের আগ্রহের বিষয়টি খুবই ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। এজন্য তিনি সৌদি সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।’

ফরিদুল হক খান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আটটি বিভাগে আটটি আইকনিক মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীতে একটি বৃহৎ মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ঢাকার পূর্বাচলে প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্দের জন্য আদেশ দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন ধর্মমন্ত্রী।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর এ আকাঙ্ক্ষার কথা জেনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

পরে ধর্মমন্ত্রী সৌদি সরকারের অর্থায়নে প্রস্তাবিত এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট স্থাপনের বিষয়টি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। তিনি জানান, ঢাকার বছিলায় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে নকশা তৈরি করা হয়েছে।

এ সময় রাষ্ট্রদূতকে নকশাটি দেখার অনুরোধ জানান ধর্মমন্ত্রী। সৌদি রাষ্ট্রদূত নকশাটি দেখে তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তিনি এখানে খেলাধুলার জন্য স্পোর্টস সেন্টার রাখার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

এ বছর হজ প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘আগে হজ এজেন্সিগুলো নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল। এ ছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীরা হজযাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত। কিন্তু হজ প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করার ফলে আমরা পুরো প্রক্রিয়াটিকেই খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি। এর ফলে হজযাত্রীদের কষ্ট অনেকাংশে কমেছে।’