ঘুমধুম সীমান্তে অবিস্ফোরিত রকেট লঞ্চার উদ্ধার, আতঙ্ক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে নতুন করে কোনো গোলাগুলি শব্দ শোনা না গেলেও সীমান্তের এপারে তৈরি হয়েছে অবিস্ফোরিত রকেট লঞ্চার আতঙ্ক। যেখানে শনিবার সকালেও অবিস্ফোরিত দুটি রকেট লঞ্চার পাওয়া গেছে।
অপরদিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে শুক্রবার সারা দিন ও রাতে কোন গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। তবে শনিবার ভোরে আবার শোনা গেছে গুলি ও মর্টার শেলের বিকট আওয়াজ। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল।
বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে নতুন করে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। সর্বশেষ শুক্রবার দুপুরে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এপারে গুলি এসে পড়েছিল বলে জানিয়েছেন ঘুমধুমের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।
জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, এ পরিস্থিতিতে ঘুমধুম সীমান্তে একের পর এক অবিস্ফোরিত রকেট লঞ্চার পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার সকালেও নতুন করে দুটি অবিস্ফোরিত রকেট লঞ্চার পাওয়া গেছে। যা লাল পতাকা দিয়ে ঘিরে রেখেছে বিজিবি। এর আগে শুক্রবার আরও দুটি রকেট লঞ্চার পাওয়া গিয়েছিল। যা পরে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। বান্দরবানের ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের ক্ষেত-খামার, কৃষি জমিতে মিলছে মিয়ানমার ছোঁড়া এসব রকেট লঞ্চার। অবিস্ফোরিত এসব গোলা নিয়ে খেলা করছে সীমান্তের বাসিন্দা ও শিশুরা। ফলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
শনিবার সকালে কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে রকেট লঞ্চারের গোলা পাওয়া রাজিয়া বলেন, কৃষি জমিতে কাজ করছিলাম। তখন দেখি শিশুরা লম্বা লোহার রডের মতো একটি জিনিস নিয়ে খেলছে। তখন তাদের কাছ থেকে এটি নিয়ে বাসায় চলে আসি। পরে স্বামী বলে এটি অস্ত্র। তার পরপরই বিজিবিকে এটি হস্তান্তর করি।
সীমান্তের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, গোলাগুলো কত মারাত্মক তা কেউ জানে না। মূলত এটা যে বিস্ফোরক তাও জানে না সীমান্তের অনেক বাসিন্দা ও শিশুরা।
যদিও মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গোলা ও গুলিতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশি এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে অন্তত ৮ জন।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি জানিয়েছেন, শনিবার ভোরে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কানজরপাড়া সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে গুলিবর্ষণ, মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। যতদূর জানা গেছে শনিবার ভোরে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের কুমিরখালী এলাকায় সংঘর্ষে গুলিবর্ষণ ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্তে এপারের লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং এলাকায় কয়েকটি গুলিও এসে পড়েছে।
নুর আহমদ আনোয়ারি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত এটা বন্ধ ছিল। শনিবার ভোরে পর পর শব্দ শোনা গেছে। এখন বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি শব্দ শোনা যাচ্ছে।
এদিকে উখিয়ার পালংখালীর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী।