কলেজছাত্র হত্যা মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন

Looks like you've blocked notifications!

জামালপুরে কলেজছাত্র লিটন (২০) হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. এহসানুল হক এই রায় দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত ২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে জামালপুর সদর উপজেলার রামদেববাড়ী গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে কলেজছাত্র লিটন প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে রশিদপুর চৌরাস্তায় চাচার বাড়িতে রাত্রিযাপন করতে যান। কিন্তু পরের দিন ১৪ জানুয়ারি সকালে পরিবারের লোকজন জানতে পারে লিটন রাতে চাচার বাড়িতে যাননি। সেদিন বিকেলে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের একটি পতিত জমি থেকে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটা ও আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই তাঁর বাবা আব্দুস সামাদ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে জামালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তুলশীপুর ডিগ্রি কলেজের ছাত্র লিটন স্থানীয় একটি সমিতির সদস্য ছিলেন। সেখানে টাকা লেনদেন নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সাত আসামির মধ্যে ছয়জনের উপস্থিতিতে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাত আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. এহসানুল হক। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রমাণ লুপাটের দায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন একই এলাকার মিজান (২০), সোহেল (২৫), সুমন (২৬), লাভলু (২০), হেলাল (৩৫), মিজান (২১) ও মজিবুর রহমান (৪৫)। এদের মধ্যে মজিবর রহমান পলাতক রয়েছেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি নির্মল কান্তি ভদ্র ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ আকাশ ও জামিল হোসেন তাপস।