নওগাঁয় এনজিওর মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, আটক ৬
নওগাঁয় গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘ডলফিন সেভিং অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের’ পরিচালকসহ ছয়জনকে আটক করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার তারাবো বাসস্ট্যান্ড থেকে সংস্থার স্বত্বাধিকারী ও পরিচালক আব্দুর রাজ্জাককে র্যাব সদস্যরা আটক করেন। পরে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তার সহযোগী পাঁচজনকে আটক করা হয়।
আজ দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
আটকরা হলেন—নওগাঁ সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৪৩), তার বোন শিল্পী বেগম (৩৫), স্ত্রী সুমি বেগম (৩২), সংস্থার সভাপতি পিয়ার আলী (৪০), ম্যানেজার আতোয়ার রহমান (৬০) ও ক্যাশিয়ার রিপন হোসেন (১৮)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘নওগাঁ সদর উপজেলার ফতেপুর বাজারে ২০১৩ সালে সমবায় থেকে নিবন্ধন নিয়ে ডলফিন সেভিং অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি সংস্থা গড়ে তুলেন আব্দুর রাজ্জাক। সেখানে বিভিন্ন গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্থায়ী আমানত ও ক্ষুদ্র সঞ্চয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। গ্রাহকদের প্রতি লাখে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা দিতেন। গত কয়েক মাস থেকে গ্রাহকদের মুনাফা না দিয়ে আজকাল দেব বলে তালবাহানা করতেন। হঠাৎ করেই গত ২০ জানুয়ারি সংস্থার সব কার্যক্রম বন্ধ করে পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যরা প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারের পর নজরে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এরপর গোপনে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুর রাজ্জাক দুবাই পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরে রোববার ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার তারাব বাসস্ট্যান্ড থেকে র্যাব-১১ এর সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। এরপর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাকি পাঁচজনকে আটক করা হয়। আটকদের নওগাঁ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’